১ নভেম্বর ২০২৩,ডুমুরিয়া খুলনা থেকে শেখ মাহতাব হোসেন:-ডুমুরিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে ডুমুরিয়ায় নেটওয়াকিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন চেক বিতরণ ও জাতীয় যুব দিবস পালিত।
বুধবার ১নভেম্বর সকাল ১০টায় ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে,আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান,
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ,
স্বাগতম বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার এস এম কামরুজ্জামান,
বক্তব্য দেন সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিনা মজুমদার,সমবায় কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুর রহমান,জন সাস্হ্য প্রকৌশলী মোঃ শাহাঙ্গীর আলম,ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন,যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কম্পিউটার প্রশিক্ষক মোঃ তাইজুল ইসলাম,মোঃ এমদাদুল হক,সুরঞ্জিত সরকার,সাত্বনা রাণী,আরিফুজ্জামান নয়ন প্রমুখ।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি কর্মক্ষম যুবসমাজ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি অনেকাংশে যুবসমাজের কর্মশক্তির সঠিক ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীল। জনসংখ্যার সম্ভাবনাময় ও প্রতিশ্রুতিশীল যুব সমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে অর্থনীতির মূলস্রোত ধারায় সম্পৃক্ত করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information Communication Technology) বিষয়ক প্রশিক্ষণ অতীব জরুরি। ইতোমধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা শহরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কম্পিউটার বিষয়ক প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে। শহরের শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুব নারীরা এ সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কম্পিউটার বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের গ্রাম অঞ্চলের দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত বেকার যুব গোষ্ঠীর বেকারত্ব দুরীকরণে অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ জরুরি। ১৮-৩৫ বছর বয়সের যুবক ও যুব নারীর সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যা দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার শ্রমশক্তির অর্ধেক। বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে যুবদের কর্মসংস্থানের জন্য আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণের আওতায় গ্রামীণ জনপদের শিক্ষিত বেকার যুবদের ব্যাপকভাবে আনতে পারলে দেশের Demographic dividend এর সুফল কাজে লাগানো সহজ হবে।
বর্তমানে আধুনিক ব্যবস্থাপনা,গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন,গবেষণা,টেলিকমিউনিকেশন,ই-কমার্স,অনলাইন ব্যাংকিং,প্রিংটিং ইত্যাদি প্রায় সকল কার্যাদি কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। এ সকল কাজে যুবদের সম্পৃক্ত করার জন্য তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডারপ্রিভিলেজড রুরাল ইয়ং পিপল অব বাংলাদেশ (টেকাব ২য় পর্ব)’শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আইসিটি প্রশিক্ষণ ভ্যানের (মিনিবাস) মাধ্যমে যুবদের দোরগোড়ায় প্রশিক্ষণ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ আইসিটি প্রশিক্ষণ ভ্যানে এগারটি ল্যাপটপ, ভ্রাম্যমাণ ইন্টারনেট সুবিধা,মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর,অডিও সিস্টেম,জেনারেটরসহ কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ আইসিটি প্রশিক্ষণ ভ্যান প্রতি উপজেলায় দুই মাস অবস্থান করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে চাহিদা অনুযায়ী সকল উপজেলায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
‘টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডারপ্রিভিলেজড রুরাল ইয়ং পিপল অব বাংলাদেশ (টেকার ২য় পর্যায়)’শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আধুনিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (আইসিটি ট্রেনিং ভ্যান)। মাধ্যমে”কম্পিউটার এন্ড নেটওয়ার্কিং”বিষয়ক ২ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স (১৭৬ কর্ম ঘন্টার) এর কারিকুলামের ওপর ভিত্তি করে একটি পুর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরী করা হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ মডিউল “কম্পিউটার এন্ড নেটওয়ার্কিং”বিষয়ক প্রশিক্ষণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
অনুষ্ঠান সার্বিক সঞ্চালন করেন শিক্ষক শফিকুল আলম।