রাজউকে বহিষ্কৃত কর্মচারী পরিচয় বদলে গুরুত্বপূর্ণ শাখায় কাজ করছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গুরুত্বপূর্ণ স্টেট শাখায় চলছে রহস্যজনক এক অনিয়ম। বহিষ্কৃত এক কর্মচারী বর্তমানে তন্ময় সরকার নামে পরিচয় বদলে সেই শাখায় পুনরায় কাজ করছেন— অথচ তিনি রাজউকের স্থায়ী কর্মচারীও নন।
রাজউকের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, খালেক পূর্বে রাজউকের বিভিন্ন নথি ও গোপন ফাইল চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ জব্দের পর গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নথি ও রাজউকের সংবেদনশীল ফাইল উদ্ধার হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজউক কর্তৃপক্ষ তাকে মুচলেকা দিয়ে বহিষ্কার করে, এবং লিখিতভাবে জানানো হয়— তিনি রাজউকের আশপাশে অবস্থান করতে পারবেন না।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার পরিবর্তনের পর ওই ব্যক্তি দাড়ি রেখে ও তন্ময় সরকার নাম ব্যবহার করে আবারও রাজউকের স্টেট সেকশনে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছেন।
রাজউকের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, বর্তমানে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল তার ব্যক্তিগত পেনড্রাইভে সংরক্ষণ করছেন। এতে রাজউকের প্রশাসনিক নিরাপত্তা এবং জমি–সম্পত্তি সংক্রান্ত গোপন তথ্য ফাঁসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাজউকের এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন,
“যে ব্যক্তি একবার বহিষ্কৃত হয়েছেন, তার আবার রাজউকের ভেতরে কাজ করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কার ছত্রছায়ায় তিনি ফিরে এলেন— সেটা তদন্ত করা জরুরি।”
প্রশ্ন উঠেছে— রাজউকের নিরাপত্তা বিভাগ এ বিষয়ে জানে না কেন? কে বা কার নির্দেশে বহিষ্কৃত ব্যক্তি আবার সরকারি সংস্থার ভেতরে কাজ করার সুযোগ পেলেন?
রাজউকের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে গোপন তথ্য নিরাপদ থাকে এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়।