কোটালীপাড়ায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শেখ কামরুজ্জামান (রানা),কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি:-গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকলে উপজেলার শাহানা রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে বাংলাদেশ মজলিসুল মোফাসীরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গোপালগঞ্জ-১ আসনের জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর ও গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জামায়াতের প্রার্থী এম এম রেজাউল করিম।
কোটালীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মো: সোলায়মান গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আল মাসুদ খান, কোটালীপাড়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মিজানুর রহমান সেকেন্দার, সেক্রেটারী মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কোটালীপাড়া পৌর সভাপতি মাওলানা আনসার আলী, মাওলানা আসলাম উদ্দিন, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা সাদ আহম্মেদ, মাওলানা মাসুকুর রশিদ, মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, মাওলানা আবুল বাসারসহ বিভিন্ন ইসলামীক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
গোপালগঞ্জ-১ আসনের জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, আল্লাহর কোরআনের আইন কায়েম করতে হলে সংসদে কোরআনপন্থি লোকদের পাঠানো লাগবে। কোরআনে চোরের বিচার হাতকাটা। এই আইন বারবার পড়লে হবে না। আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। সংসদে কোরআনপন্থি লোক থাকলে তখনই এই আইন পাশ হবে। ’৫৪ বছর পর সুযোগ এসেছে। এবার সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যার ইচ্ছা যাকে ভোট দিবে। ভোট হলো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। এই ভোট জায়েজ কি নাজায়েজ আমাদের নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। নির্বাচনের মাধ্যম ছাড়া এ দেশে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এই ভোট যেন সুন্দর হয়, সুষ্ঠ হয়, গ্রহণযোগ্য হয় এজন্য ওলামায়ে কেরামগণ চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশে এখন ৩১ টি নিবন্ধিত দল। এর মধ্যে ২৬টি দল এক হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠ করার জন্য পিআর পদ্ধতির কোন বিকল্প নাই।
গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জামায়াতের প্রার্থী এম এম রেজাউল করিম বলেন, আল্লাহর দ্বীন ছাড়া যারা অন্য কোন আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাদের পরিচয় হচ্ছে তারা মুসলিম নয়। জাতীর এই ক্রান্তিলগ্নে একটি গোষ্ঠি ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে। হলুদ খামের লোভে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছে। এরা জাতীর শত্রু। এরা জাতির বেইমান। এরা শাহাবাগী। এঁদেরকে চিহ্নিত করতে হবে জাতির কাছে। আলেম ওলামাদের এমন ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে আর কোন আলেম ওলামাদের প্রতি কোন অত্যাচার নির্যাতন করার দূর্বিসাহস কেউ দেখাতে না পারে। এজন্য আলেম সমাজকে নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য আগামী পার্লামেন্টকে একটি কোরআনি পার্লামেন্ট করার জন্য সকল ওলামাকেরামদের সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।