২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩,কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :- সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশের অভিযানে ভারতীয় ১২ টি মহিষ আটক করা হয়েছে।গত পুলিশ ২৫ সেপ্টেম্বর ভোরবেলা সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অত্র থানাধীন পৌরসভাস্থ সুরমা নদীর সবজি বাজার সংলগ্ন ঘাটে ভারতীয় মহিষ বোঝাই ষ্টীলবডি নৌকা আটক করেন এবং নৌকায় থাকা ১২ টি ভারতীয় মহিষ, যার মধ্যে ০৪ (চার) টির উচ্চতা অনুমান ০৪ ফুট ০৬ ইঞ্চি করে, প্রত্যেকটি মহিষের মূল্য অনুমান ২,২০,০০০/- ( দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা করে ০৪ টি মহিষের মূল্য ৮,৮০,০০০/- (আট লক্ষ আশি হাজার) টাকা। ও অপর ০৮ (আট) টির উচ্চতা অনুমান ০৪ ফুট করে, প্রত্যেকটি মহিষের মূল্য অনুমান ১,২০,০০০/- ( এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা করে ০৮ টি মহিষের মূল্য ৯,৬০,০০০/- (নয় লক্ষ ষাট হাজার) টাকা এবং পুরাতন সেলো মেশিন দ্বারা পরিচালিত ০১টি ষ্টীল বডি নৌকা যাহার দৈর্ঘ্য অনুমান ৫৪ ফুট ও প্রস্থ্য অনুমান ১১ ফুট ০৬ ইঞ্চি। ইঞ্জিন সহ নৌকার মূল্য অনুমান ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা সহ জব্দকৃত আলামতের সর্বমোট মূল্য ২৬,৪০,০০০/- (ছাব্বিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা পাইয়া উপস্থিত সাক্ষীগণের সম্মুখে গত ২৫/০৯/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ০৭ :৩০ ঘটিকার সময় উদ্ধার পূর্বক এসআই(নিঃ)/ আমির উদ্দিন জব্দ করেন। এসময় মহিষগুলো চোরাচালনের সাথে জড়িত নৌকায় থাকা আসামী ১। ইসলাম উদ্দিন (৩০), পিতা-হারিছ আলী, সাং-বেরীগাও, ২। মোফাজ্জল হোসেন (১৯), পিতা-মজিদ মিয়া, ৩। শরীফ হোসেন (১৯), পিতা-দানু মিয়া, উভয় সাং-হালুয়ারগাও, সর্ব থানা-সুনামগঞ্জ সদর, জেলা-সুনামগঞ্জদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারিরা জানায় যে, পলাতক আসামী ৪। জজ মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত হাফিজ মিয়া, সাং-বাদেরটেক, ৫। আনোয়ার হোসেন (৩৫), পিতা-মৃত ওয়ারিছ আলী, সাং-বেরীগাও কৃষ্ণতলা, ৬। কামাল হোসেন (৩৫), পিতা- রুসমত আলী, সাং- মঙ্গলকাটা, সর্ব থানা-সুনামগঞ্জ সদর, জেলা- সুনামগঞ্জদের সহায়তায় তারা দোয়ারাবাজার থানাধীন বোগলা নামক ভারতীয় সীমান্ত হইতে সরকারী শুল্ক ফাঁকি দিয়া চোরাচালানের মাধ্যমে জব্দকৃত মহিষগুলো বাংলাদেশে নিয়া আসে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা আরো জানায় যে, এভাবে তারা দীর্ঘদিন যাবত সরকারের শুক্লফাকি দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত হইতে অবৈধভাবে মহিষ আনিয়া দোয়ারাবাজার থানাধীন বোগলাবাজারের ইজারাদার মোঃ রফিক হোসেন এর মাধ্যমে ভুয়া ইজারার কাগজ তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে মহিষগুলো বিক্রি করিয়া আসিতেছে। এই বিষয়ে এএসআই(নিঃ) খায়রুল আলম বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয় এবং গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।##