সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় যুব নেতৃত্বে প্যাকেটজাত দুগ্ধ বর্জন, মাতৃদুগ্ধপান ও ঘরোয়া খাদ্য গ্রহনে উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০৮ অক্টোবর) সদর উপজেলার চালতেতলা মিশন চার্চে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয় ।
ক্যাম্পেইনে সিডোর প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অফিসার পুলক কুমার চক্রবতী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাহুল দেব রায়,, পৌর কাউন্সিলর অনিমা রানী মন্ডল।
উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটি সদস্য সাবিকুর রহমান বাবলা, কমিউনিটি হেল্প সার্ভিস প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মো: আলমগীর হোসেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিক মেহেদী আলী সুজয় ও যুব সদস্যবৃন্দ।
বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের কো-অর্ডিনেটর মাসুদ রানা, ইয়ূথ পিয়ার গ্রুপ ফেলো, বৈশাখী সুলতানা, প্রান্তিক যুব সংঘের সভাপতি হৃদয় মন্ডল, ইয়ূথ ফেলো সাকিব হোসেন।
ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ানো ও ঘরোয়া খাদ্য গ্রহনের উপকারিতা সম্পর্কে । প্যাকেটজাত দুধ গ্রহনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে কমিউনিটিতে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
প্রত্যাশা ছিল শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ানো ও ঘরোয়া খাদ্য গ্রহনের উপকারিতা সম্পর্কে কমিউনিটির মানুষ সচেতন হবে। প্যাকেটজাত দুধ গ্রহনের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে কমিউনিটিতে সচেতনতা বাড়ানো। প্যাকেটজাত দুগ্ধ বর্জন, মাতৃদুগ্ধপান ও ঘরোয়া খাদ্য গ্রহনের বিষয়ে কমিউনিটিতে প্রচারণা বৃদ্ধি পাবে।
মাতৃগর্ভে শিশুর অবস্থান কার ৪০ সপ্তাহ। এই সুদীর্ঘ সময়ের মধ্যে মা ও গর্ভস্থ শিশু যে কত রকমের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে তার একটার মোটামুটি ধারনা থাকা আমাদের সকলের প্রয়োজন। কেননা একটু সতর্ক হলেই এ বিপর্যয়গুলো এড়িয়ে যেতে পারি। গ্রাম প্রধান এই বাংলাদেশে এখনো অজ্ঞতা ও কুসংস্কারে আবদ্ধ। অধিকাংশ মানুষ প্যাকেটজাত দুগ্ধ, পানি পড়া, হাতুড়ে ডাক্তারের চিকিৎসার উপর নির্ভরশীল। নতুন শিশু জন্মের সাথে সাথেই মায়ের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। একদিকে নিজের স্বাস্থ্য পরিচর্যা অন্যদিকে নতুন শিশুর যতœ। প্রসূতির খাদ্য বলতে বোঝাই মা ও তার নবজাতক শিশুর খাদ্য। ভুমিষ্ট হওয়ার পর থেকে সাধারনত শিশুর কয়েক মাস শুধু মায়ের দুধের উপর বেঁচে থাকে। মায়ের দুধের মধ্যে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গুলি পায়।
মায়ের দুধের চেয়ে ভাল খাদ্য আর কিছু নেই। সত্যি কথা বলতে কি মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই। মায়ের বুকের দুধ শিশুর আদর্শ খাদ্য। এতে আমিষ এর চেয়ে গ্লুকোজ বা মিষ্টির পরিমান বেশি থাকে বলে শিশু খেতে পছন্দ করে। মায়ের দুধের এন্ডিবডি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যার ফলে শিশু কতগুলি রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। আর এ জন্য শিশুদের পেটের অসুখ কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদ্জ্জুামান (তহিদ), প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ইন্সপেরিটর জিনাত রহমান মেলোডি, ইয়ূথ পিয়ার গ্রুপ ফেলো বৈশাখী সুলতানা, রিচার্ড হালদার, ইয়ূথ ফেলো সাকিব হাসান।