June 24, 2025, 9:39 am
শিরোনামঃ
নাটকীয় মিথ্যা মামলার হাত থেকে মুক্তি চান নীলা ও তার বাবা নরসিংদীর মাধবদীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান তিন দোকানকে জরিমানা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুগত বড়ুয়া আর নেই : কাল অন্তোস্টিক্রিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল দিনব্যাপী পার্টনার কংগ্রেস ২০২৫ অনুষ্ঠিত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা. পরিদর্শক পর্যায়ে পরিবর্তন নরসিংদীর শিবপুরে ভয়ংকর ডাকাত মোঃ সবুজ ওরফে সেলিমকে গ্রেফতার করেন র‍্যাব বঙ্গে সবুজ ঝড়, কালিয়াগঞ্জ বিধান সভা নির্বাচনে আলিফা আহমেদ জয়ী এইচ এস সি বাংলা যশোর শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষা স্থগিত বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া,বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কুড়িগ্রামে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা: শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যয় সন্দ্বীপে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বিএনপি নেতাকর্মীরা ইউএনও বরাবর স্মারক লিপি প্রদান

সাংবাদিক ইলিয়াসকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

Reporter Name
  • Update Time : Monday, October 2, 2023,
  • 108 Time View

আলোচিত মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে ইলিয়াস হোসেনের সম্পত্তি ক্রোক সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। ইলিয়াস হোসাইনের সম্পত্তি ক্রোক করা যায়নি অর্থাৎ সম্পত্তি পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ।

এরপর আদালত ইলিয়াস হোসাইনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. জুয়েল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৩১ আগস্ট ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত ইলিয়াস হোসেনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৫ জুলাই একই আদালত মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী আজ দিন ধার্য করেন। ওইদিন আদালত এ মামলার অভিযোগ থেকে বাবুল আকতার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দেন। অপরদিকে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও বাবুল আকতারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বাবুল আকতার, ইলিয়াস হোসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া। আসামিদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এরপর গত ১১ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমামের আদালত মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।

এর আগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজাহারে পিবিআই প্রধান অভিযোগ করে বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই’র দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার প্রধান আসামি হিসেবে তদন্তে প্রকাশ পায়। তদন্তকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেল হাজতে থাকা বাবুল আকতার ও বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করেন।

‘‘এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আকতার ও অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে ‘স্ত্রী খুনে স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। যা সম্পর্কে ৪ সেপ্টেম্বরে আমি অবগত হই।’’

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ভিডিওতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধসহ তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি দেওয়া হয়। এছাড়া ভিডিওতে পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই ও বিশেষ করে আমার মান-সম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়েছে। যার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এর নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে।’

পিবিআই প্রধান এজাহারে উল্লেখ করেন, ভিডিওতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস করা হয়। রাষ্ট্রের হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিরও অপপ্রয়াস করেছে।

এছাড়া এজাহারে ওই ভিডিও ডকুমেন্টারি বিভিন্ন তথ্য ও বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করে নানা প্রমাণ ও তথ্য উপস্থাপন করেন বনজ কুমার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ISO,NO-QMS/012111/0919