আব্দুল কাদের শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :: শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেহাল দশা, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রুগীরা ৷ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মানুষেরা চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে চিকিৎসা নিতে বাঁধ্য হচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ৷
সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ৫ টা কক্ষই বন্ধ করতে হয়েছে।বন্ধ হয়েছে সরকারি প্যাথলজি সহ জরুরি বিভাগ, পুরাতন ভবনের প্লাস্টার ও ছাঁদের প্লাস্টার ঢসে পড়ার ফলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ ৷ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর থেকে রুগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয় প্রশাসনিক ভবণে রেখে ৷ আগে যে ৪ টি কেবিন ছিলো তার প্রতিটি কেবিনের মধ্যে ৩ থেকে ৪ টি বেড সহ ভর্তি রাখা রুগীরা রয়েছে মেঝেতেও ৷ রুগীরা চিকিৎসা নিতে ভর্তি রয়েছে সিঁড়ির রুমেও ৷
তথ্যমতে উপজেলায় ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭শ ৮১ জন মানুষে বসবাস ৷ প্রতিনিয়ত দূর্ঘনার শিকার হয়ে ১০ থেকে ১৫ জন রুগী চিকিৎসার জন্য আসেন শ্যামনগর হাসপাতালে ৷ কিন্তু হাসাপাতালের অবস্থা দেখে অনেকেরই প্রাইভেট হাসাপাতালে ভর্তি হতে হয় ৷ বন্ধ রয়েছে প্যাথলজিও ৷ চরম দূর্ভোগে নিন্ম আয়ের মানুষেরা ৷ বঞ্চিত হতে হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা থেকে ৷
হাসপাতালের সিঁড়ির ঘরে চিকিৎসা নেওয়া একজন ব্যক্তি জানান, ৫ আগেষ্ট ২০২৩ তারিখ সকালে ভর্তি হন ৷ রুমে জায়গায় না থাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন সিঁড়ির রুমে ৷
অন্য একজন রুগী জানান গত ৫ দিন ধরে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ৷এদিকে অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার হাসপাতালটি অনিয়মে ভরে গেছে ৷ প্রাইভেট হাসপাতাল সহ প্রাইভেট প্যাথলজি থেকে প্রতি মাসে মোটা অংকের অর্থ যায় নেতাদের পকেটে ৷ যার ফলে যেনো দেখার কেউ নেই ৷ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিম সহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি করেন ৷
উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, গত ৩ বছর ধরে হাসপাতালের মূল ভবণটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে ৷ গত সপ্তাহ খানেক আগে ইন্জিনিয়ার মাপজরিপ করে গেছেন যে ভবনে কার্যক্রম চলছে তার উপরে আরও ২তলা ভবন বাড়ানো হবে ৷
সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা আল-মোমেন বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনের নির্মানের জন্য আবেদন করেছি ৷ হয়তো ২০২৪ সালে পেতে কাজটি পারি ৷