শ্যামনগর( সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:-আজ ৯ই অগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসীদিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা সামস এর আয়োজনে সামস এর প্রধান কার্যালয় থেকে মুন্সীগঞ্জ গ্যারেজ বাজার পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যা লী ও অফিস প্রাঙ্গনে সুসজ্জীত মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির আসন গ্রহন করেন সামস এর সভাপত্বি গোপাল চন্দ্র মুন্ডা। মুল প্রতিবেদন পাট করেন সামস এর নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা। প্রধান অতিথির আসন গ্রহন করেন আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের (অধ্যক্ষ (আবঃ) ও দক্ষিনের মশালের সসম্পাদক আশেক-ই-এলাহী। তিনি বলেন-বৈচিত্রময় সমাজ গড়তে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে, মানুষ হিসাবে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে আদিবাসী বাঙালি যৌথ আন্দলোনে যেতে হবে। ফুলকী মুন্ডার ঘটনা একটি দৃষ্টান্ত মনে রাখতে হবে। নরেন্দ্র মুন্ডা কে নিয়ে আন্তর্জাকিত ভাবে চাপ তৈরী করতে হবে। তাদেও মত নেতা সহজে আসেনা। বিশেষ অতিথির আসন গ্রহন করেন ফাদার লুইজি পাজ্জী এসএক্স- পরিচালক যীশু নাম আশ্রম, তিনি বলেন শিক্ষার জন্য কেউ এগিয়ে এল না। সকল পাড়ার যুবক যুবতীদের আসার কথা থাকলেও সব গ্রাম থেকে এল না। তবুও আমি বলব তোমরা যারা একটু শিখেছো তারা দায়িত্ব নাও তোমার পরবর্তী মানুষদের জন্য। জনাব সুমন কুমার মালাকার-কর্মসুচী কর্মকর্তা কারিতাস তিনি বলেন একটি জাতিগোষ্টি কে নিজেস্ব ভাষা সাষ্কৃতি থাকা পরও রাষ্ট্র নির্ধারণ করে দেবে যে সে কিভাবে পরিচিত হবে ভাবলে অবাক লাগে। জনাব গাজী আল ইমরান-নির্বাহী পরিচালক সিডিইও সমন্বয়কারী শ্যামনগর এনজিও পরিষদ, তিনি বলেন- শুধু ভূমির কথা বলে হবে না, যেকোন আন্দোলনে যুবকদেও এগিয়ে আসতে হবে অংশগ্রহন করতে, ফা: লুইজী ও কষ্ণ দা থাকলে হবে না নতুন নেতৃত্ব আসতে হবে। জনাব বেলাল হোসেন-সভাপতি সুন্দরবন প্রেস কøাব, দিপঙ্কর বিশ্বাস-প্রভাষক আরতজান মহিলা মহাবিদ্যালয় সহ বিভিন্ন পাড়া থেকে আগত আদিবাসী নেতা নেত্রীরা বক্তব্য রাখেন । এবারের প্রতিপাদ্য “আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আদিবাসী তরুণরাই মূল শক্তি” সামনে রেখে আলোচক গন বক্তব্য রাখেন। আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস-২০২৩ এর মাধমে আমাদের সুপারিশ সমূহঃ ১) সমতলের আদিবাসীদের ভূমি বিষয়ক রাষ্টীয় প্রজাস্বত আইন ১৯৫০ এর ৯৭ ধারা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আদিবাসীদের ভূমি অধিকার রক্ষায় আলাদা ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে। ২) আদিবাসীদের নামে সকল প্রকার মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং আদিবাসীদের যে সমস্ত জমি প্রভাশালী ব্যক্তি দ্বারা জোর-জুলুম, জাল দলিল সৃষ্টি করে ভোগ দখল করছে সে গুলো দ্রুত আইনের আওয়াতায় এনে নিষ্পত্তি করে আদিবাসীদের মাঝে বন্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩) আদিবাসী নারীদের প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ৪) আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যতার সাথে যথাযথ সঙ্গতি বিধানের জন্য উন্নয়ন নীতি গ্রহণ করা; আদিবাসী নারী, শিশু ও তরুণদের গুরুত্ব প্রদান করে আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তবধর্মী র্কায্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। ৫) আদিবাসীদের সমস্যা নিরসনে আদিবাসী যুবদের মধ্যে নব নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে এবং যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যুব নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। ৬) আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় যে সমস্ত খাস জমি আছে এবং যেখানে তারা বসবাস করে সে সমস্ত খাস জমি আদিবাসী মুন্ডাদের নামীয় কাগজ পত্রের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭) আদিবাসী যুব সম্পধদায়ের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য জীবনমুখী প্রশিক্ষণ প্রয়োজন এবং কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ। ৮) শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট মুন্ডাপাড়ার নরেন্দধ নাথ মুন্ডার হত্যার ন্যায় বিচারসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিদাবী করছি। সভাপতির সমাপনি বক্তব্যও পরপরই আদিবাসী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। আদিবাসী নাচ গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন তারাপদ মুন্ডা।