২৯ অক্টোবর ২০২৩,শেখ মাহতাব হোসেন,ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি:- লালশাক চাষে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন বুনছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া গ্রামের লাল শাক চাষি আবু হানিফ মোড়ল,এবার তিনি ৭০ শতক জমিতে আর এম জাতের ইউনাইটেড সীড কোম্পানির লাল শাক চাষ করেছেন। প্রতিবার ১০ কেজি বীজ ৩কেজি মিশ্রসার সেচ খরচসহ মোট খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। ২৫ দিনের মধ্যে এ ফসল বিক্রি করা যায়। তার জমি থেকে প্রতিবারে প্রায় ৭৯হাজার টাকার শাক বিক্রি করা সম্ভব। সেই হিসাবে বছরে ৩ বারে মোট ২লক্ষ ২১হাজার টাকার লাল শাক বিক্রি করা সম্ভব।
এক সময় জমিতে ফসল ফলিয়েও যে আয় আসত লালশাক চাষে পূর্বের তুলনায় অনেক লাভবান হচ্ছি। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ লালশাক চাষে। আমার দেখাদেখি এলাকার অধিকাংশ কৃষকই লালশাক চাষে ঝুঁকছেন। এতে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় অনেকেরই ভাগ্যের পরিবর্তন আসছে। অভাব অনাটনের রেশ কাটিয়ে সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। বাজারে লালশাকের চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। লালশাক চাষের ধারাবাহিকতা রাখা সম্ভব হলে বদলে যাবে এ এলাকার গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। একসময় শুধু ইরি-বোরো ও আমন চাষের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু শাক-সবজি চাষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এ অঞ্চলের কৃষক। আধুনিক পদ্ধতিতে নানা জাতের লালশাক আবাদ হচ্ছে। ফলে আগের মতো কৃষকরা জমি ফেলে না রেখে লালশাক আবাদে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেকে পতিত জমিতেও লালশাকের আবাদ শুরু করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার খর্নিয়া,বরাতিয়া, বামুন্দিয়া,ও পাচপোতা গ্রামের কৃষক লালশাক চাষ শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে,প্রতি রবি মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৩শত হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের সবজির আবাদ হয়। তার মধ্যে ৪৩৭ হেক্টর লালশাকের আবাদ হয়েছে
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমিন জানান,ডুমুরিয়া উপজেলার জমি সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এখানকার চাষিরা লালশাকসহ বিভিন্ন বিষমুক্ত সবজি চাষের ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞ। এ কারণে এলাকার চাষিরা উন্নত কৃষি প্রযুক্তির আওতায় সবজি চাষ করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করছেন।