ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট প্রতিনিধি ::কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ২বছরেও শেষ হয়নি রাস্তা পাকা করণের কাজ,নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ,
ভোগান্তিতে সাধারণ জনগন।
ছাব্বিশ শত বিয়াল্লিশ মিটার রাস্তা পাকা করণের কাজ নির্ধারিত সময়ের থেকেও ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও তা শেষ করা হয়নি ২ বছরেও। ২ বছরে মোট কাজের ৬০% ভাগ শেষ করলেও সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্ন মানের খোয়া।এলাকাবাসী নানা ভোগান্তিতে চলাচল করলেও নিয়মিত কাজ সম্পূর্ন করতে তদারকি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
ঘটনাটি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কদমতলা পাঁচমাথা (সুকদেব) মানাবাড়ী ভায়া গোলাপ ডিলারের বাড়ী পর্যন্ত সড়ক (চেইঃ ৫০০ মিঃ- ২৬৪২মিঃ) (সড়ক আইডি নং-১৪৯৭৭৫০৯০) উন্নয়ন করণ প্রকল্প।
অফিস সূত্রে জানা যায়,২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রাক্কলিতমূল্য ১,৯১,৯১,৬১২/৮৬ টাকা,চুক্তি মূল্য
১,৮২,৩২,০৩২/২১ টাকা। ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ইং তারিখে প্রিন্স মুরাদ কনস্ট্রাকশন এন্ড বিল্ডার্স, সরকারপাড়া, তবকপুর, উলিপুর, কুড়িগ্রাম এর ঠিকাদার কাজটি শুরু করেন। ১৬ই জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখে কাজ শেষ করার সময় বেধে দেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও কাজের ৬০% শেষ করেননি।
গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দায়সারা কাজ করে দুই দফায় ৩০% টাকা উত্তলণ করেও রাস্তার বাকি কাজ শেষ না করে ফেলে রাখেন। এনিয়ে সাংবাদিকরা লেখালেখি করলে প্রিন্স মুরাদ কনস্ট্রাকশন এন্ড বিল্ডার্স এর স্বত্বাধারীকারী মুরাদ হোসেন কে কাজ না করে বন্ধ রাখায় স্থানীয় সরকার ও সড়ক বিভাগ রাজারহাট উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী তাকে শোকজ করেন।
৫ই আগস্ট ২০২৪ইং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পট পরিবর্তনের পরে তরিঘরি করে নিম্ন মানের খোয়া দিয়ে কাজ শুরু করে দেন। এতে স্থানীয় জন সাধারন ক্ষুপ্ত হলে সাংবাদিকরা নিম্ন মানের খোয়া দিয়ে কাজ করার অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে সাংবাদিক কে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে কাজটি বন্ধ রাখেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন এই কাজ শুরু থেকে নয়ছয় হয়ে আসছে। এই মানাবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার এই সাইটের ম্যানেজারী দায়িত্ব পালন করায় এতোদিন এই কাজের অনিয়ম নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দায়সারা কাজ করে বিল উত্তলণ করতে চেয়েছিলেন।
কাজের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মুরাদ হোসেন সাংবাদিক কে জানান কাজের ফান্ড না থাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে রাজারহাট এলজিআরডির প্রকৌশলী জনাব সোহেল রানা বলেন,রাস্তার কাজটি শেষ করতে ঠিকাদার কে একাধিকবার চাপ দিয়েছি। দ্রুত কাজটি শেষ করতে না পারলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবো।