এ এইচ রাজীব রাজশাহী:
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় কামরুল হাসান (২২) নামের এক ব্যবসায়ী ঋণসহ নানা কারণে আত্মগোপন করতে চেয়েছিলেন।
ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের হারেছ আলীর ছেলে। নিজেকে খুনের নাটক করেন তিনি।
নিজ দোকান ঘরের বিছানায় রক্ত লাগিয়ে গা ঢাকা দেন। যাতে লোকজন মনে করে তাকে খুন করে লাশ গুম করা হয়েছে।কিন্তু সেই নাটকের পরিকল্পনা সফল হয়নি।গা ঢাকা দেবার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে রোববার রাতে ঢাকা দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে মোহনপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে দোকান মালিক ও পাওনাদার কামরুজ্জামান রানা বাদী হয়ে সোমবার মোহনপুর থানার প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন।সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডল।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের হারেছ আলীর ছেলে কামরুল হাসান পাকুড়িয়া হাটে তাহেরপুর পাকুড়িয়া গ্রামের কামরুজ্জামান রানা কাছ থেকে দোকাঘর ভাড়া নিয়ে কীটনাশক,সরিষা,গম ও ধানসহ বিভিন্ন ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি।ব্যবসা করা অবস্থায় কামরুল হাসান দোকান মালিকসহ বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ধার নেয়।
এক পর্যায়ে কামরুল হাসান ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন।শুক্রবার রাতে ব্যবসায়ী কামরুল হাসান নিজেকে ঋণ থেকে বাঁচার জন্য খুনের নাটক সাজিয়ে ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করেন।শনিবার সকালে ব্যবসায়ী কামরুল হাসান দোকান ঘরে খুন হয়েছেন এবং তার লাশ মিলছে না,এমনকি ঘরে রক্তের দাগ রয়েছে বলে পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানায়।
মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারেন তিনি ঢাকা গিয়ে অবস্থান করছে।
পরে মোহনপুর থানার এসআই ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ও সাখাওয়াত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকার দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,ঋণ থেকে বাঁচার জন্য নিজেই নাটক সাজিয়ে আত্মগোপন করেন।
এ ব্যাপারে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডল বলেন,মামলার পর আসামি কামরুল হাসানকে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।