মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন বাবু হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে নিম্ন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের সার্টিফাইড কপি পর্যালোচনা করে কাজী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন নিম্ন আদালত। এর আগে তার জামিন ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ।গত ৫ সেপ্টেম্বর তারিখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কাজী মিজানুর রহমানের জামিনের এ স্থগিতাদেশ দেন ।গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে জামিন স্থগিতাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কপি চাঁদপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সরকারি রেজিস্ট্রার (জিপি) ডাকযোগে পৌঁছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জামিন ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিতের খবর পেয়ে গতকাল মোবারক হোসেন বাবু হত্যা মামলার ধার্য্য তারিখে মামলার আসামি কাজী মিজানুর রহমান আদালতে হাজির হয়নি।
গত ৩১ আগষ্ট হাইকোর্ট থেকে কাজী মিজান,কাজী মতিন ও কাজী হাবিব জামিন পেলে ঐদিনই মামলার বাদী ও নিহত বাবু’র আপন ভাই আমির হোসেন কালু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিমের আদালত কাজী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ৮ সপ্তাহের জন্য জামিন স্থগিতাদেশ দেন।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জামিন স্থগিতাদেশের কপি চাঁদপুর নিম্ন আদালতে পৌঁছার বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সেলিম মিয়া জানান,আমরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জামিন স্থগিতাদেশের কপি পেয়ে নিম্ন আদালতে কাজী মিজানুর রহমানের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করি। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিম্ন আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পযন্ত জানা গেছে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কাজী মিজানুর রহমান। এ বিষয়ে নিহত মোবারক হোসেন বাবু’র ভাই ও মামলার বাদী আমির হোসেন কালু বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কাজী মিজান জেল থেকে বের হয়েই আমাকে মেরে ফেলার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।