ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত- ৫০, বাড়ি-ঘর ও দোকান-পাট, ভাংচুর ও লুটপাট।
ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃ-
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়েছে। এসময়ে হামলাকারীরা ৭টি বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষে আহতরা হলো- আসাদ মীর, আজগার মীর, হায়দার মীর, সহিদ শেখ, ফজলুর রহমান, জিয়া মীর ও মুজিবুর মীরকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।
এলাকা সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে তুজারপুর গ্রামের রসমত মোল্লা ও তার আপন ভাই তৈয়ব মোল্লার একটি জায়গা গ্রামবাসী মধ্যস্থতায় মাপামাপি হয়। তখন ২ ভাইয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এপর্যায়ে হাতাহাতি পরে মারামারি হয়। তখন ২ ভাই দুই দলের বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে হয়। সে সময় বেশ কিছু লোক আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি বর্ষন করে গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে ২ ভাই দলে বিভক্ত হয়ে পুনরায় ওহাব ভূঁইয়া ও ওমর মাতুব্বর গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ২ ঘন্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৫০ জন লোক আহত হয়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. হানিফ সরকার বলেন, বুধবার দুপুরে ২ ভাই রসমত মোল্লা ও তৈয়ব মোল্লার একটি জায়গা গ্রামবাসী মধ্যস্থতায় মাপামাপি হয়। তখন ২ ভাইয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এপর্যায়ে হাতাহাতি পরে মারামারি হয়। তখন কিছু লোক আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি বর্ষন করে গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে ২ ভাই দলে বিভক্ত হয়ে পুনরায় ওহাব ভূঁইয়া ও ওমর মাতুব্বর গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হলে বেশ কিছু লোক আহত হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষ বন্ধে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।