July 15, 2025, 12:54 pm

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে লাঠি খেলায় দর্শকদের ঢল

Reporter Name
  • Update Time : Sunday, August 13, 2023,
  • 137 Time View

মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সরাইল প্রতিনিধি:-আষাঢ়ের পরন্ত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার তেরকান্দা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েগেল আবহমান সংস্কৃতির অংশ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। লাঠিয়ালদের ছন্দ আর আনন্দে মেতে উঠেন হাজারো দর্শক। মুহু-মুহু করতালী দিয়ে দর্শকেরা খেলোয়ারদের উৎসাহ যোগান। আর খেলোয়ার তাদের অপূর্ব ক্রীড়া নৈপূর্ণ্য প্রদর্শন করেন। খেলায় অংশ গ্রহনকারী খেলোয়ার সহ দর্শকেরা হাজার বছরের সংস্কৃতিকে ধরে রাখার দাবী জানান। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে জানান দিয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর মধ্যে লাঠিখেলা কতটা জনপ্রিয়। বর্ষার পরন্ত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার তেরকান্দা গ্রামের প্রত্যান্ত এলাকার মাঠে দর্শকদের এই উপচেপড়া ভীরে যেন প্রাণ ফিরেছে গ্রামীন জনপদে। লাঠিয়ালদের নান্দনিক কসরত আর অসাধারন ক্রীড়া নৈপূর্ণ্য দেখে অনেকটাই মুগ্ধ দর্শকেরা। ফরিদ মিয়া নামে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ জানান, খেলা দেখেছি ভাল লেগেছে। তবে খেলার ঐতিহ্যে কিছুটা হলেও কমেছে। তবে সরাইলের লাঠিয়ালরা এখনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই খেলাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে সরকারী উদ্যোগ জরুরী। কুহিনুর বেগম নামে এক গৃহবধূ জানান, খেলা দেইখ্যা বালা লাগছে। অনেক মানুষ জমা হইছে। হৈচৈ আর উত্তেজনা পূর্ণ বিষয় গুলো বেশ ভালা লাগছে। তার দাবী এমন আয়োজন যেন নিয়মিত করাহয়। ফরিদ মিয়া নামে এক খেলোয়ার জানান,“বিশেষ ধরনের বাদ্যযন্ত্রের তাল আর লাঠির মাধ্যমে শারীরিক কসরৎ প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে দর্শকদের আনন্দদেয়াই মূর্খ্য বিষয়। হারিয়ে যাওয়া খেলাটি টিকিয়ে রাখার জন্যেই এই প্রয়াস। তিনি ঐতিহ্যবাহী খেলাটিকে ধরে রাখার জন্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে খেলার প্রধান পৃষ্টপোষক ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেলিম খন্দকার জানান, তরুন সমাজকে মাদকের কুফল আর দাঙ্গা হাঙ্গামা থেকে রক্ষার জন্যেই এই প্রয়াস। আশাকরি আমাদের মতো প্রতিটি এলাকার মানুষ লাঠিখেলাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে কাজ করবেন। খেলায় মোট ১০টি ইভেন্টে ৩০জন খেলোয়ার অংশ গ্রহন করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ISO,NO-QMS/012111/0919