শেখ সেকেন্দার আলী,পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি:-পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী বিপ্লব সাধুর বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সম্মান হানি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে অর্ধশত ব্যাবসায়ীর উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যাবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বিনোদগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সংগঠনের ব্যানারে বিপ্লব সাধুর পক্ষে স্থানীয় বিনোদ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ প্রভাষক তাপস কুমার সাধু।
এসময় তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, কপিলমুনির নির্মাণ বিপণীর স্বত্তাধিকারী মৃত বিশ্বনাথ সাধুর ছেলে বিপ্লব সাধু নিজ নামেসহ তার মা ও ভাইয়ের নামে কপিলমুনির নাছিরপুর মৌজায় .৪৮ একর জমি খরিদ করে সেখানে টিনসেডের একটি গুদাম ঘর নির্মাণ করছেন। যার নামপত্তন খতিয়ান নং ৫৮৩। তার ঐ গুদাম সীমানায় স্থানীয় বিধান বিশ্বাসের বাবা ও কাকাদেরও খরিদা .১৫ একর খরিদা জমি রয়েছে। যার ডিপি খতিয়ান নং-৫২৩, দাগ নং-৫২৮। বিপ্লব তার খরিদা .৪৮ একর জমির .৪৭ একর জমির মধ্যে গুদাম ঘর নির্মাণ করলেও তার বাইরে আরোও ০.০১ একর জমিতে পার্শ্ববর্তী সীমানার জনৈক বিধান বিশ্বাস দিংদের লাগানো কিছু আম গাছ রোপন করা রয়েছে। নির্মানাধীন গুদাম ঘরে ঐ গাছের বেশ কিছু ডাল-পালা ঢুকে পড়ায় নির্মাণকাজের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় বিধানকে ডালগুলো কেটে নিতে অনুরোধ করে বিপ্লব। এর আগে নিজ নিজ জমির সীমানা বুঝে নিতে উভয় পক্ষ স্থানীয় আমিন দ্বারা মাপ-জরিপ করে উবয় পক্ষের স্বাক্ষরিত একটি রইদাদনামা প্রস্তুত করে। সে অনুযায়ী যার যার জমি বুঝে পেতে তারা ঐক্যমতে পৌছালেও বিধান প্রথমত ডাল-পালা কেটে নিতে তালবাহানা ও পরে নিজ দায়িত্বে ডালগুলো কেটে নিতে বলে। চলতি মাসের ১২ সেপ্টেম্বর বিপ্লব সাধু তার শ্রমিক দিয়ে গাছের কয়েকটি ডাল কাটলে বিধান বেঁকে বসে এরজন্য বিপ্লবকে নানাবিধ হুমকি-ধামকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ঘটনায় বিপ্লব শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে ১৪ সেপ্টেম্বর কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহজুল ইসলাম বিষয়টি থানায় বসাবসি করে বিষয়টি মিমাংশার জন্য বিধানকে তার বরফ কলে গিয়ে বলে আসেন।
যার ফলে বিধান বিশ্বাস গত ১৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রেসক্লাবে বিপ্লব সাধুকে অনধিকার প্রবেশে তার সীমানায় ঢুকে ডাল কর্তন ও এসআই শাহাজুলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে চাঁদাদাবির অভিযোগ এনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এর পর দিন ১৮ সেপ্টেম্বর বিপ্লব সাধুসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জনকে আসামী করে দন্ডবিধির ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩৫৪/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ (২) ধারা মোতাবেক পাইকগাছা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একই দিনের ঘটনায় ভিন্ন বিবরনে একটি মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নের্তৃবৃন্দ প্রকৃত ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিনোদগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নির্মল মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক শেখ আনারুল ইসলাম, কপিলমুনি বণিক সমিতি ও প্রেসক্লাব আহ্বায়ক জি,এম আব্দুর রাজ্জাক রাজু, আওয়ামীলীগ নেতা ও পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, পুলিশিং কমিটির নেতা সাধন চন্দ্র ভদ্র, পাইকগাছা প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, কপিলমুনি প্রেসক্লাব ও সিটি প্রেসক্লাবের নের্তৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীক নের্তৃবৃন্দ।