রিয়াজ হোসেন বরিশাল প্রতিনিধি:-বরিশালে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড,ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাৎসরিক ভাবে কীর্তনখোলা নদীতে অবৈধভাবে দিনরাত বালু ডাকাতি করছে একটি চক্র।শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীভাঙন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,
বরিশাল সদর উপজেলায় কীর্তনখোলা নদীতে কালিজিরা ব্রীজ,দপদপিয়া সেতু সংলগ্ন,বেলতলা বিদ্যুৎ টাওয়ার,লামচরী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা,চরমোনাই দরবার শরীফ এবং সায়েস্তাবাদ নদীর মূখে বালু ডাকাত চক্রের প্রধান হচ্ছে লালচান,সুজন,বরিশালের কাওসার,কালু,ফিরোজ,নয়ন,আবেদ,রেজা, রিয়াজ,সোহাগ,সোহেল,জিয়াসহ ৮/১০ জন।
এদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মানববন্ধন করা হলেও চরমোনাই এলাকা থেকে কীর্তনখোলা নদীর পাশে পাশেই শক্তিশালী ড্রেজার বসিয়েছে চক্রটি।সরকারে কোটি টাকা রাজস্ব চুরি করে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এ ডাকাতি।
স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন যে,অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে পানি উন্নয় বোর্ডের বাঁধ ভেঙ্গে কৃষি জমি নদীতে ভেসে যাচ্ছে।চক্রটি ডিসি অফিসের একটি অসাধু মহলকে এবং নৌ-পুলিশের একাধিক অসাধু অফিসারদের নিয়মিত মাসোয়ারা দেয়।তাই তারা আমাদের ফোন পেয়েও সহজে আসে না।বরং বালু ডাকাত আবেদ,সুজন গ্রুপ কেউ মুখ খুললে তাকে লাঞ্চিত করবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছে। এবিষয়ে বালু উত্তোলন কারী নয়নের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।