১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩,স্টাফ রিপোর্টার:- বগুড়ার শেরপুরে বিআরবি কেবলস্’র বিক্রয় ও বিপণন কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও পরিবহন কাজে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এরআগে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনভর ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ওই অভিযান পরিচালিত হয়। জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর সার্বিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল সজীব শাহরীনের তত্ত্বাবধানে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-বরগুনা জেলার বরগুনা উপজেলার হরিদ্রাবাড়ীয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে রিপন খান জাফর ওরফে জাফর হাজী (২৬),মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার লালহাটী ইসলামপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে আয়নাল চৌধুরী (৪৮),একই জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে নিজা ম মোল্লা (২৮) ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার নয়াবাড়ী গ্রামের আফছার উদ্দিন মোল্লার ছেলে শাহীন মোল্লা (৪৭)।
গতকাল শেরপুর থানা চত্বরে প্রেস বিফ্রিংয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,বিগত ২৪ আগস্ট রাতে শহরের ধুনটমোড়ে অবস্থিত বিআরবি কেবলস্ বিক্রয় ও বিপণন কেন্দ্রে হানা দেয় একদল দুর্বৃত্তরা। প্রধান ফটকের তালা ভেঙে এবং সার্টার কেটে ভেতরে ঢুকে সেখানে থাকা ক্যাশ বাক্সের তিনটি ড্রয়ারের তালা ভেঙে সাড়ে এগারো হাজার টাকা ও বিভিন্ন মালামাল কাভার্ডভ্যানে বোঝাই করে লুটে নিয়ে যায় তারা। যার আনুমানিক মূল্য তেত্রিশ লাখ বিরা আশি হাজার সাতশ’টাকা। পরে উক্ত ঘটনায় ওই বিক্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মীর সাদিকুল হাসীব বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ।
একপর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত ১২ সেপ্টেম্বর ভোররাতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে ঘটনার মূলহোতা রিপন খান জাফর ওরফে জাফর হাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী অন্যান্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারসহ পরিবহন কাজে ব্যবহৃত নম্বরবিহীন কাভার্ডভ্যান জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন,গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। এরমধ্যে রিপন খান জাফর ওরফে জাফর হাজীর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় হত্যাসহ ডাকাতি-ছিনতাইয়ের সাতটি মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান। এদিকে গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর বগুড়ায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।