৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩,স্টাফ রিপোর্টার:-বগুড়ার বিসিক শিল্পনগরী থেকে নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় জড়িত একজন ট্রাক চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাতে সারিয়াকান্দি উপজেলার ফেরিঘাট এলাকা থেকে অভিযুক্ত ট্রাকচালক ইজাজুল ইসলাম আপেল (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘাতক ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন,সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান।গ্রেফতার ড্রামট্রাক চালক ইজাজুল ইসলাম আপেল সোনাতলা উপজেলার কোড়াডাঙ্গা গ্রামের বেলাল মন্ডল এবং আরজিনা বেগমের ছেলে।
আসামির জবানবন্দির বরাত দিয়ে পরিদর্শক শাহিনুজ্জামান বলেন,সোমবার রাতে বিসিকের মেসার্স শাহিন ব্রাদার্স এ ডিউটিতে ছিলেন নৈশপ্রহরী আব্দুল বাছেদ (৪৮)।ভোর পাঁচটার দিকে সেখানে বালু রাখতে যান ট্রাক চালক আপেল। বালু রাখার সময় ট্রাক পেছনের দিকে নিয়ে গেলে ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে নৈশপ্রহরী বাছেদের।পরে ট্রাকের চাকা তার মাথার ওপর উঠে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি৷ পরে ইজাজুল লাশ গোপন করার জন্য মরদেহ তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের একটি জঙ্গলে ফেলে দেন। পরদিন বাছেদের মাথা থেঁতলানো মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় রাতে নৈশপ্রহরী বাছেদের ছেলে মামলা দায়ের করলে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে রাতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন ট্রাকচালক ইজাজুল।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ধারণার ভিত্তিতে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দর রহমান জানান,নৈশপ্রহরী বাছেদ রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন। ট্রাকচালক তাকে না দেখেই পেছন দিকে ঘোরার সময় ঘুমন্ত নৈশপ্রহরীর মাথার ওপর চাকা তুলে দেয়। এতে তার বাছেদের মৃত্যু হয়। পরে ট্রাক চালক বালু রেখে স্বাভাবিকভাবেই চলে যান। নৈশপ্রহরী বাছেদকে তিনি দেখেননি।