ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ঈদুল আজহা উপলক্ষে ফরিদপুরে জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট। সকাল থেকেই জেলা-উপজেলার বিভিন্ন হাটে শুরু হয়েছে পশু বেঁচাকেনা।এছাড়া হাটে গবাদি পশুর স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ প্রদানে কাজ করছে বেশ কিছু ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম।
স্থানীয় কৃষকের পাশাপাশি মৌসুমি গরু ব্যবসায়ীরাও তাদের পশু নিয়ে হাটে আসছেন।
জেলার কয়েকটি পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। সকালের দিকে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাটে কোরবানির পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
হাটে গরুর দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সম্প্রতি গো-খাদ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় প্রান্তিক কৃষক ও খামারিদের পশুপালন খরচ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত লাভ পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই।
গত বছরের তুলনায় এ বছর খড়, ভুসি, গমসহ সব ধরনের খাবারের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি গরুতে ১০-২৫ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে। ফলে এ বছর সেই তুলনায় গরুর দাম বৃদ্ধি পায়নি বলেও জানান বিক্রেতারা।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু কোরবানির ঈদ, তাই দাম যাই হোক তাতেই দরদাম-যাঁচাই করে গরু কিনতে হবে।
এদিকে হাট কর্তৃপক্ষ বলছে, হাটে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও জাল টাকা লেনদেন প্রতিরোধে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দূর-দূরান্তের পাইকারি ক্রেতাসাধারণের জন্য নানা রকমের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ বছর মাঝখানে গবাদি পশুর খাদ্যের মূল্য একটু বেশি ছিল। তবে এখন আবার সেটি সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। আশা করছি খামারিরা ভালো দাম পাবেন। এছাড়া তাদের সুবিধার্থে হাটে ৯টি ভেটিনারী মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। ফরিদপুরে থাকা গরু দিয়েই জেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরেও পাঠানো যাবে।
ফরিদপুরে বড় গরুর ক্রেতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বড় গরুগুলো ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার গরুর হাটে চলে যাচ্ছে।