নিজস্ব প্রতিনিধি:-প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় লোভ লালসার কারণে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি অনার্স সম্পূর্ণ করার পরেও বার কাউন্সিলে পরীক্ষা দিতে পারছেন না প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।২০১৭ সালের আপিল বিভাগের রায় ছিল কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থী আইন বিভাগে ভর্তি করতে পারবে না কিন্তু ২০১৮ সালে এলএলবি অনার্সের জন্য ভর্তি করা হয় ৫৯ জন শিক্ষার্থীকে। গত২০২২ সালে ৩ নভেম্বর ২০২২ সালে আনার্স সম্পূর্ণ করে বা কাউন্সিলে ইন্টিমিশন জমা দিলে ৬ মাস অতিক্রম করার পরও মেসেজ এপ্রুভ করেনি বার কাউন্সিল। এরই মধ্যে ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও সাব রেজিস্টারে কাছে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে উনারা বলেন এটি বার কাউন্সিলের বিষয়। বার কাউন্সিলে গেলে বার কাউন্সিল থেকে জানানো হয় প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় নামে ৫০ আসনে অনিয়ম করে ৫৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করে। বিষয় সমাধান হওয়ার আগ পর্যন্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীর ইন্টিমিশন এপ্রুভ করা হবে না। পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে ১২/৮/২০২৩ তারিখ প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা রেজিস্টার ও ভিসিকে এই বিষয়ে সমাধান করার কথা বললে উনারা নান আশ্বাস দিয়ে দুই দিনের এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন দারুস সালাম থানার ওসি ও ওসি তদন্ত সহ সাব ইনস্পেকটরা।
পরবর্তীতে মিথ্যা অজুহাতে নোটিশ এর মাধ্যমে ২৯/৮/২০২৩ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর নতুন করে আশা দেয় এ বিষয় সমাধান করার আগ পর্যন্ত শুধুমাত্র আইন বিভাগ ক্লাস বন্ধ রাখা হবে।
এই বিষয়ে ভার্সিটি ডেপুটি রেজিষ্ট্রার সাইফুল্লাহ কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রথমে অস্বীকার করেন এবং তিনি বলেন ৪৯ কে ভুল করে ৫৯ লিখা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাইম ইউনিভার্সিটি তখনকার দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান জনাব মীর শাহাবুদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত অত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুভ সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান প্রাইম ইউনিভার্সিটি আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।তারা পাপ করেছে এই পাপের খেসারত আমাদেরকে দিতে হচ্ছে আমরা যখন প্রাইম ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হই তখন এ বিষয়ে তখনকার ডিপার্টমেন্ট হেড গোলাম সারোয়ার নাফি স্যারকে এ বিষয়ে আমরা অবগত করলে তিনি আশ্বস্ত করেন এগুলো কিছুই হবে না। তোমরা পড়ালেখা করবা বের হয়ে যাবা বার কাউন্সিল সার্টিফিকেট নিয়ে এডভোকেট হয়ে যাবা।কিন্তু এখন তারা সবাই এই দ্বায় থেকে এরে চলা চেষ্টা করছে।আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জানান ভার্সিটির বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ আলী আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে সেই সাথে এ বিষয়ে তাদের কোন কিছু করার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় শুধু মিথ্যা আশ্বাসী দিয়ে যাচ্ছে সবাইকে উনারা নিজস্ব ক্যাম্পাসের নামে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা প্রচারণা চালাচ্ছে কিন্তু এখনো তারা নিজস্ব ক্যাম্পাসের বিষয়ে আবেদন করতে পারেনি সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থীদের কে এখানে ভর্তি করার পর জিম্মি করে রাখছে ও প্রতি ব্যাচে এমন অনিয়ম করে যাচ্ছে।