এইচ এম রাজীব হোসেন রাজশাহী প্রতিনিধি:-সরকারকে নির্বাচন নিয়ে পাতানো খেলা আর খেলতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহীতে বিভাগীয় ‘তারুণ্যের রোড মার্চের সমাপনীতে তিনি একথা বলেন।
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রয়োজনে আবারো যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন,জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে,সরকারকে পদত্যাগ করাতে হবে। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে যুক্ত হবার আহ্বানও জানান তিনি।
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিশেষ চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান,মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন,খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় শেখ হাসিনা সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন,বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ চায় এই সরকারের পতন।কারন এই সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপন্য দ্রব্য মুল্য মানুষের নাগালের বাহিরে চলে গেছে। মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের দিকে ধাপিত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোন পথ নাই।এই সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে এদেশে নতুন সুর্য্য উদয় হবে বলেও উল্লেখ করে তিনি।
আমাদের নেতাকর্মীরা প্রাণের বিনিময়ে আগামী নির্বাচন কেয়ার টেকার সরকারের অধিনে করতে বাধ্য করবে উল্লেখ করে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,তফসিল ঘোষণা দিলেই ভোট হয়ে যাবে সেটা ভুলে যান।তফসিল ঘোষণা দিলে কোন লাভ হবে না।ভোটের বাক্স যে গোদামে আছে সেই গোদামে থেকে যেতে হবে।ভোটের বাক্স এদিক সেদিক যাওয়ার কোন সুযোগ নাই।যতক্ষণ নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত না হয়।
বগুড়া থেকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রাজশাহী বিভাগে‘তারুণ্যের রোড মার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সেটি রাজশাহীতে পৌছায়।পরে পাঠানপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহের সামনের রাস্তায় সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, স্বেচ্ছাসেক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহীর সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল,মহানগর বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন।