২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩,নওগাঁ প্রতিনিধি:- নওগাঁ জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাস ও অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনার ২৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বাস চলাচল শুরু হয়। এর আগে শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ ও নওগাঁ-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস মালিক গ্রুপ। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাস মালিক গ্রুপ ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়য়নের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শ্রমিকেরা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে সাধারণ শ্রমিকদের মতামতের ভিত্তিতে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস মালিক গ্রুপ। বৈঠকে অংশ নেওয়া জেলা বাস মালিক গ্রুপের সড়ক সম্পাদক দেবাশীষ রায় বলেন,প্রশাসনের মধ্যস্থতায় শুক্রবার মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস মালিক গ্রুপ এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা সমিতির নেতাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় যে মামলা হয়েছে সেটার তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মহাসড়কে তিন-চাকার যান চলাচল বন্ধ থাকবে। দেবাশীষ রায় আরও বলেন,দিনের অন্য সময় মহাসড়কে তিন-চাকার যান চলাচল করতে পারবে। এক্ষেত্রে বাস মালিক গ্রুপ কিংবা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন তিন-চাকার যান চলাচলে কোনো বাধা দেবে না। আজকে বৈঠকে গতকাল রাতের সভার সিদ্ধান্তগুলো সাধারণ শ্রমিকদের অবহিত করেন বাস মালিক গ্রুপ ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে মোটর শ্রমিকদের ওপর আর কোনো হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর হবে না প্রশাসনের এমন আশশাসের ভিত্তিতে সাধারণ শ্রমিকেরা গাড়ি চালাতে রাজি হওয়ার পর আজ বিকেল পাঁচটা থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ ও নওগাঁ-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। জেলা বাস মালিক গ্রুপ,মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও অটোরিকশা সমিতি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাবাইহাট ও ফেরিঘাট এলাকায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এ সময় দুটি বাস ও ১৫টি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্গের পর থেকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে বাস ও তিন-চাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলার অভ্যন্তরীণ রুটেও বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস মালিক গ্রুপ। হঠাৎ করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।