মোঃ সেকুল মিয়া নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনা দূর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের কেট্রা গ্রামে মহারাজা ভূপেন্দ্র চন্দ্র সিংহ শর্ম্মা গং এর নামে লিপিবদ্ধ স্বত্ববান থাকা অবস্থায় প্রজা সাধারণের সুবিধার্থে “কেট্রা “বড় দিঘি নামে একটি দিঘি খনন করা হয় এবং স্হানীয় লোকজন দিঘিটি যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে। পরবর্তীতে মহারাজা ভূপেন্দ্র চন্দ্র সিংহ শর্ম্মার গং এর কোন প্রতিনিধি না থাকায় বা নিরুদ্দেশ হলে উক্ত ভূমি সরকারি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং এক নং খতিয়ানে সরকারের নামে এস,এ রেকর্ড হয়।অনুরুপ ভাবে উক্ত ভূমি নির্ভিঘ্নে সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকায় এক নং খতিয়ানে সরকারের নামে বি,আর,এস রেকর্ড হয় এবং সরকারি সম্পত্তি হিসাবে উক্ত দিঘিটি স্থানীয় জন সাধারণে ব্যবহার করে আসছে বলে জানা যায়।কতিপয় স্বার্থবাদী লোভী ব্যক্তি রবীন্দ্র চন্দ্র দে গং মতিন্দ্র চন্দ্র সরকার গং উক্ত সরকারি ভুমি আত্মসাথের উদ্দেশ্য ভূয়া ও মিথ্যা কাগজ সৃজন করে দুর্গাপুর বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে ৭৮/১৯৮৭ নং অন্য প্রকার মোকাদ্দমা দায়ের করে প্রকৃত সত্য গোপন করে ও সঠিক তথ্যাদি আড়াল করে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে ২৫ শে ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৮৯ ইং তারিখে ডিগ্রী লাভ করে।স্থানীয় জন সাধারণ সরকারি সম্পতি রক্ষার্থে ও বর্ণিত ভূমির পাবলিক ইজামেন্ট রক্ষার্থে উল্লেখিত রায় বাতিলের দাবিতে বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালত নেত্রকোনায় ১১১/২০১৯ অন্য প্রকার মোকাদ্দমা দায়ের করেন যা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।এস.এ রেকর্ডের ধারাবাহিকতায় বি,আর,এস রেকর্ডের উক্ত ভূমি সরকারের নামে রেকর্ড হওয়ায় মতীন্দ্র চন্দ্র সরকার গং নেত্রকোনা যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে নেত্রকোনা উক্ত মোকাদ্দমা চলমান রয়েছে। এবং বিবাদী বাদী হয়ে অত্র আদালতে ঘোষণা মূলক প্রতিকার প্রার্থনার দাবিতে ৭৮/১৯৮৭ অন্য মোকদ্দমা করে দু তরফা সূত্রে ডিগ্রি লাভ করে।এমনি ভাবে নালিশি ভূমি উত্তর দায়ক বিবাদী গণ ভোগ দখল করে থাকা অবস্থায় বর্তমান মোকাদ্দমার বাদিগণের প্ররোচনায় নালিশী ভূমি উপজেলা নির্বাহী ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নালিশী ভূমি বাদিগণের নিকট বন্দোবস্ত দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় উত্তর দায়ক বিবাদী পক্ষ বাধ্য হইয়া তাই স্হায়ী নিষেধাজ্ঞার দাবিতে উক্ত দুজনের বিরুদ্ধে অত্র আদালতে স্হায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দাবিতে ৩৮/২০০৪ অন্য মোকাদ্দমা করে উক্ত বিবাদী গণের বিরুদ্ধে নালিশি ভুমি নিয়া খরচ সহ দু,তরফা সূত্রে ডিগ্রি লাভ করেন। তৎপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালত নেত্রকোনায় ১৪৩ /২০০০ অন্য আপিল,দায়ের করেন।তৎপর আপিল বিগত ১৯/০৫/০৯ ইং তারিখে বাদী রেসপন্ডেন্ট পক্ষে বিরুদ্ধে দু তরফা সূত্রে বিনা খরচায় না মঞ্জুর হয়ে এবং অত্র আদালতে ৩৮/২০০৪ অন্য মোকাদ্দমায় বিগত ১৬/০৬/০৬ ইং তারিখের রায় এবং বিগত ইং ০৮/০৬/০৬ তারিখের ডিগ্রি বহাল ও বলবৎ রাখা হয়। নালিশী ভূমি নিয়া বর্তমান বাদী পক্ষ নালিশী ভূমিতে শান্তি ভঙ্গ ঘটায় উত্তর দায়ক বিবাদী প্রথম পক্ষ হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাঃ বিঃ১৪৫ ধারায় মোকদ্দমা করায় সরেজমিনে তদন্ত করে অপষধহফ নালিশী ভূমিতে উত্তরদায়ক বিবাদীর সত্ব দখল স্বীকার করায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা আদালত অত্র বাদীগণের বিরুদ্ধে নালিশী ভূমিতে প্রবেশ করিতে বারিত করে প্রসিডিং স্হাপন করায় বর্তমান বাদী উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে পিটিশন দাখিল করিলে তাহা না মঞ্জুর হয়। তাৎপর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা হাকিম নালিশী ভূমিতে প্রবেশ অস্থায়ী ভাবে বারিত ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৫ ধারা মতে প্রসিডিং স্হাপন করা হয়।উক্ত আদেশ কেন স্থায়ী করা হবে না সে মর্মে কারণ দশাতে বলা হয়। বিবাদীর দখলে থাকায় বাদীগনের স্বত্বের মোকাদ্দমা অচল বটে।প্রতিপক্ষ সম্পূর্ণ মিথ্যা উক্তিতে অত্র মোকাদ্দমা আনয়ন করিয়াছেন।প্রতিপক্ষ গণ ভূমি লুভাতুর ও মামলা বাজলোক।কেট্টা “বড় দিঘিটি স্থানীয় লোকজন যুগ যুগ ধরে উন্মুক্ত ব্যবহার করে আসছে,এলাকার জন সাধারণ দিঘিটি ব্যবহারের উন্মুক্ত চান।এলাকাবাসীর দিঘিটি ব্যবহারের উন্মুক্ত চাওয়ার দাবি তাদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রক্ষিতে সাংবাদিকগণ সরে জমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ ও তদন্তে এবং এলাকার প্রবীণ গণ্যমান্য বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গ ও মুক্তিযোদ্ধা, অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতে এবং মোটো ফোনে কথা বললে তারা সকলেই একই কথা বলেন,স্থানীয় লোকজন দিঘিটি যুগ যুগ ধরে উন্মুক্ত ব্যবহার করে আসিতেছে। সাংবাদিকগণের উপস্থিতে স্হানীয় উপস্থিত সমবেত শত শত লোকজনের দাবির পক্ষে এলাকার আব্দুল বারেক সরাসরি সাক্ষাৎ করে বলেন,বিবাদী মতীন্দ্র চন্দ্র সরকার গংদের রাষ্ট্রের আদালতের কাছে বিচারের দাবি যৌক্তিক এবং মোকাদ্দমার সাক্ষী মতীন্দ্রচন্দ্র সরকার,বিমল চন্দ্র ঘোষ, কমল চন্দ্র ঘোষ,উৎফল ঘোষ,প্রান্ত ঘোষ,দিলীপ ঘোষ ও সুভাষ চন্দ্র সরকার স্বাক্ষী গণ সঠিক ও সত্য।
আঃ বারেক “কেট্টা” বড় দিঘিটির মহারাজা ভূপেন্দ্র চন্দ্র সিংহ স্হানীয় জন সাধারণ উন্মুক্ত ব্যবহারের জন্য খনন করেছিলেন এবং দিঘিটির ইতিহাস তুলে ধরে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন এবং তিনি বলেন সঠিক ন্যয় বিচারের মাধ্যমে পূনরায় জনগন দিঘিটি উন্মুক্ত ব্যবহার করতে সুযোগ পায় এবং ভূমি দুম্ব্যদের হাত থেকে দিঘিটি সাধারণ জনগণের হাতে ফিরে আসে এবং উন্মুক্ত ব্যবহার করতে পারে সেই জন্য গণমাধ্যম কর্মীগণের কাছে প্রত্যাসা করেন তাদের সঠিক তথ্য প্রকাশ করে লেখুনির মাধ্যমে ও ভিডিও চিত্র তুলে ধরে এলাকার জনগনের দীর্ঘ দিনের দাবিপূরণ হওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আদালতের ন্যয় বিচার পাওয়ার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।