৯ অক্টোবর ২০২৩, নিউজ ডেস্ক:- ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে ইরান। রবিবার জাতিসংঘে ইরানের মিশন বলেছে,“ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় তেহরান জড়িত নয়। তবে ইরানি জাতিসংঘ মিশন হামাসের এই হামলাকে সমর্থন করে বলেছে,“আমরা ফিলিস্তিনের প্রতি অটল সমর্থন ব্যক্ত করছি;তবে,আমরা ফিলিস্তিনের প্রতিক্রিয়ায় জড়িত নই,কারণ এটি শুধুমাত্র ফিলিস্তিন কর্তৃক নেওয়া একটি পদক্ষেপ।
ইরানি মিশন আরও বলেছে,“ফিলিস্তিনের গৃহীত এই পদক্ষেপ অবৈধ ইহুদিবাদী শাসকদের দ্বারা সংঘটিত সাত দশকের নিপীড়নমূলক দখলদারিত্ব এবং জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বৈধ আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা।
শনিবার আকস্মিকভাবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা। সেখানে তারা বিগত সময়ে ইসরায়েলের হত্যা, নিপীড়ন ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে হামলা চালায়। এর আগে মাত্র ২০ মিনিটে ইসরায়েলের বিভিন্ন টার্গেটে পাঁচ হাজার রকেট হামলার দাবি করে হামাস। এতদিন ইসরায়েলের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে ফিলিস্তিন। শনিবারই প্রথমবারের মতো আগে ইসরায়েলে হামলা চালালো ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে,হামাসের নজিরবিহীন এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন ইসরায়েলে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,“ইরানে তাদের প্রক্সি কমান্ডার সমর্থিত এবং নির্দেশিত হামাসের মাধ্যমে ইহুদিদের পবিত্র দিনে ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি বিনা উস্কানিমূলক জঘন্য হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে,ইসরায়েলে আকস্মিক আক্রমণে হামাসকে সহায়তা করেছে ইরান।
ইরানের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই বড় ধরনের অভিযানে নামে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
খবর অনুসারে,ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ড কর্পস (সংক্ষেপে আইআরজিসি নামে পরিচিত) এই হামলায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাদের পরিকল্পনা এবং অনুমোদনক্রমে হামলা শুরু করে হামাস।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,আইআরজিসির অফিসাররা আগস্ট থেকে হামাসের সাথে বিমান,স্থল এবং সমুদ্র পথে আক্রমণের সাথে জড়িত একটি জটিল অপারেশন তৈরি করতে সহযোগিতা করেন।