সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমসহ শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান মির্জা ফখরুল।
দেশে ফিরে চিকিৎসা-সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য নেওয়ার খবর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি প্রসঙ্গে সরকারের সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। এখানে এই সরকার এমন একটা সমাজ তৈরি করে ফেলেছে, এমন একটা জগৎ তৈরি করেছে—যে জগতে নোংরামি ছাড়া কিছু নেই। এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার যে আমরা যারা রাজনীতি করি, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ছিলাম, আমাদের জড়িয়েও এসব নোংরা কথাবার্তা ছড়ায়। আমি মনে করি, এর উত্তর দেওয়াটাও আমার জন্য লজ্জাকর।’
মির্জা ফখরুলের ত্রাণ তহবিলের টাকা নেওয়ার তথ্যটি অসত্য: বিএনপিমির্জা ফখরুলের ত্রাণ তহবিলের টাকা নেওয়ার তথ্যটি অসত্য: বিএনপি
এ সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের হয়রানি করার যত রকম কৌশল আছে, এখানেও (বিমানবন্দর) তাই করা হয়েছে। আমরা যারা বিরোধী দল করি, ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় হয়রানি করে আবার ফেরার সময়েও হয়রানি করে। এটা এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আমি চিকিৎসার জন্য গেছি। তারপরেও এগুলো (হয়রানি) আমাদের ফেস করতে হয়।’
গত ২৪ আগস্ট চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ সিঙ্গাপুরে যান মির্জা ফখরুল। ২০১৫ সালে কারাবন্দী অবস্থায় তাঁর ঘাড়ের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়লে কারামুক্তির পর সেখানে গিয়ে চিকিৎসা করান তিনি। এরপর প্রতিবছরই ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারিও তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, ৫০ লাখ টাকার চেক হাতে মির্জা ফখরুল। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।’ ছবিটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এরই মধ্যে। বিষয়টিকে অসত্য বলে দাবি করেছে বিএনপি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা নোংরামির চরম উদাহরণ। এ ধরনের নোংরামি যারা করতে পারে, তাদের কোনো সভ্যতার মধ্যে উল্লেখ করা যাবে না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। তার ব্যাপারে অবান্তর কোনো গুজব ছড়ানোর আগে চিন্তাভাবনা করা উচিত।’
এছাড়া, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সিঙ্গাপুরে গিয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও খবর ছড়িয়ে পরে। তবে এমন খবরকে অসত্য বলে দাবি করেছেন চুন্নু ।