শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা:-শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) সংসদীয় এলাকায় অসহায় উদ্যোক্তা মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ এবং মসজিদ ও মন্দিরে অনুদান প্রদানের লক্ষে ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে লিখিত বক্তব্য পাট করেন আমি ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ফুলতলা উপজেলা পরিষদের ৪ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমি বঙ্গবন্ধু ও তার সহধর্মীনির শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কয়েকটি জনহিতকর কর্মসূচী গ্রহন করেছি। যার মধ্যে অন্যতম ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার কমপক্ষে ৫’শ অসহায় গরীব মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ, দু’শতাধিক মসজিদ এবং মন্দিরে আর্থিক অনুদান প্রদান। আগামীকাল শনিবার ডুমুরিয়া উপজেলার সাড়ে ৩’শ মহিলাকে সেলাই মেশিন বিতরণ করার মধ্য দিয়ে এসব কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন
আমি প্রকৃতির নিয়মে একদিন এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেব। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশন থাকবে। ওই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ডুমুরিয়া ফুলতলার মানুষের কল্যাণে নানামুখি কর্মকান্ড পরিচালিত হবে।আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে আসছি। আমি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম আমির আলী হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম। আমি বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি, শিরোমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩২ বছর যাবৎ সভাপতি, খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের আজীবন সদস্য, আফিল জুট মিলস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেসার্স সুরমা অয়েল মিলস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শিরোমনি মেসার্স হোসেন ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং কোং লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শিরোমনি বি.এন.এস.বি চক্ষু হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের সহ- সভাপতি সহ একাধিক সামাজিক ও সমাজ কল্যানমূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি।
আমি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এর নিজস্ব কার্যালয় কাম বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে অসহায় এক হাজার পরিবারকে সুলভ মূল্যে টিসিবির আদলে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার পিতা শহীদ হন। আমার চাচা মরহুম শেখ সিরাজ উদ্দীন বঙ্গবন্ধুর সহচর ছিলেন। তিনি ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ছিলেন আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ১৯৮৪ সালে সর্বহারা সন্ত্রাসীদের হাতে তিনি নিহত হন। আমার ছোট ভাই শেখ মনিরুল ইসলাম বর্তমানে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আমাদের পরিবার ১৯৭১ সালে ফুলতলা থানায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য হওয়ায় আমার পরিবারের ৪ জন সদস্য শহীদ হয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি। আমি ৪ বার উপজেলা চেয়ারম্যান। আমি একাধিকবার খুলনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়েছি। কিন্তু কখনও দলের প্রশ্নে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে কোন আপোষ করেনি। আমি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বদা কাজ করে চলেছি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও মনোনয়ন চাচ্ছি। দল ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন আমার বিশ্বাস ডুমুরিয়া-ফুলতলাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সর্বদা কাজ করতে পারবো। বঙ্গবন্ধু’র ধর্ম নিরপেক্ষতার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আমি দু’উপজেলার সকল প্রকার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করতে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা চাই।
আমি বিশ্বাস করি আপনারা জাতির কাছে সঠিক ও সত্য উপস্থাপনে সর্বদা সংগ্রাম করে চলেছেন। আমি আপনাদের লেখনির সুবিধার্থে সবসময় অর্থ,সময় ও ভালবাসা দিয়ে পাশে থাকার অঙ্গিকার করছি।