ডুমুরিয়া (খুলনা) থেকে শেখ মাহাতাব হোসেন:
ডুমুরিয়ায় নিত্যপণ্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস থামছে না সাধারণ মানুষের।সপ্তাহের ব্যবধানে আরো বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের ঝাঁজ।কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা,দেশী পেঁয়াজ ৯০ টাকা,এবং রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে আড়াইশ’ টাকায়। ডিম,মুরগি ও গরু-খাসির দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকলেও আবারও বাড়ছে মাছের দাম।চিংড়ি সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেও দাম সাধারণের নাগালে বাইরে। বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারীর দাবি জানালেও কার্যত কোন ফল না আসায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
খুলনার ডুমুরিয়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তির কোনো খবর নেই। দ্রব্যমূল্যের টানা উর্ধগতিতে হিমশিম অবস্থা সাধারণ মানুষের।একেক সপ্তায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে একেকটি পণ্যের দাম।
গত সপ্তাহের তুলনায় মরিচের দাম কিছুটা কমলেও ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের। কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে আড়াইশ’টাকায় আর দেশী পেঁয়াজ ৯০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকায়।
স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। প্রতি কেজি শসা,বেগুন ৮০ টাকা,আলু ৪৫,করলার কেজি ৬০ টাকা।
চিনির দাম কিছুটা কমলেও ভোজ্যতেলে কোনো প্রভাব পড়েনি।অপরিবর্তিত চাল-ডাল,আটা-ময়দার দাম।
বাজারে উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে গরু,খাসি ও মুরগি। প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৯০ টাকা, সোনালী মুরগির কেজি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা। ভরা মৌসুমেও ৭/১৩শ’টাকার নিচে নামছে না চিংড়ী কেজি।
নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে বাজারে স্বস্তি ও শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রশাসনের ধারাবাহিক নজরদারির দাবি জানিয়েও কোনো সুফল না আসায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।