১ নভেম্বর ২০২৩,মশিয়ার রহমান (নীলফামারী) প্রতনিধি:- ‘স্মার্ট যুব,সমৃদ্ধ দেশ- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হলো জাতীয় যুব দিবস। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ বুধবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয় হতে একটি যুব র্যালী বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
পরে সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই- আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্রনাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সিদ্দিকা,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল কবীর প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, যুবরাই দেশের প্রাণশক্তি। দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৭ কোটিরও বেশি মানুষই যুবক। এদের ওপর দেশের সুখ- শান্তি এবং সমৃদ্ধি নির্ভর করে।
বক্তারা আরো বলেন,২০৪১ সালে বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নত দেশে পরিণত হবে। এই অগ্রযাত্রায় কাণ্ডারি হবে দেশের যুবসমাজ। যুবকরাই দেশকে উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বিভিন্ন ট্রেডে যুবক ও যুব মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেয়। সময়ের সঙ্গে প্রশিক্ষণে প্রোগ্রামিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো আধুনিক বিষয় যুক্ত হয়েছে। সেই আধুনিকতার হাত ধরে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন যুবকরা। তাই বাংলাদেশের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই তরুণ ও যুবক। তারাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে,বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে আমাদের বিশাল যুবসমাজকে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ করতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর দেশব্যাপী কর্মপ্রত্যাশী যুবক ও যুবনারীদের জন্য SDG এর লক্ষ্যমাত্রা ৮.৬ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের কর্মমূখী প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে আসছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর শুরু থেকে জুন-২০২২ পর্যন্ত মোট ৬৭,৬৫,০৪৯ জন যুবকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। তন্মধ্যে ডিসেম্বর-২০২১ পর্যন্ত ২৩,০২,২৯৬ জন আত্মকর্মী হয়েছে। যাদের মাসিক আয়সীমা ৪ হাজার ৫০০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।