বিশেষ প্রতিনিধি :: রাজধানীর মিরপুর আরামবাগ রোড -৮, বাসা সি/৩২ রুপনগর থানা এলাকায় ব্যাবসায়ী মোঃ হান্নান এর বাসায় কিছু সন্ত্রাসী লোকজন গিয়ে তার বৃদ্ধ মাকে হুমকি দিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার। জানা গেছে হান্নান এর কাছে ১৮ লাখ টাকা পাবো বলে দাবী করে যদি না দেয় তাহলে হান্নান কে খেয়ে ফেলবে। ওই সময় তাদের সাথে ছিলেন ডিবি পরিচয় দান কারী এক ব্যাক্তি তিনি ও বলেছেন ভালো ভালো বলে গেলাম টাকা না দিলে ডিবি তে তুলে নিয়ে কিভাবে টাকা নিতে হয় সেটা আমাদের জানা আছে এই বলে তারা চলে আসে।
ভুক্তভোগী হান্নান বলেন গত ২৭শে আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে সন্ধ্যায় অনুমানিক ০৬ ঘটিকায় অজ্ঞতানামা একজন লোক মোবাইল ০১৭১৩-৬৭৫৯৩৩ নাম্বার হইতে আমাকে ফোন করিয়া ডিবি পুলিশের এস আই রাজ্জাক দাবি করিয়া বলে আপনি মিরপুর ১২ নম্বর বিআরটিসির পিছনে ময়লার ডাষ্টবিনের পিছনে আসেন আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।
আমি আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাহার কথা মতো উক্ত স্থানে গিয়ে দেখি অনুমানিক ১৫ /২০ জন লোক দাড়িয়ে আছে ময়লার ডাষ্টবিনের পাশে।
তাদের মধ্যে আমার পূর্ব পরিচিত মামুন ও সোহেল যাদের সাথে গত এক বছর আগে ব্যাবসা করতে গিয়ে উত্তরাতে পরিচয় হয়েছিল এমনকি আমার গার্মেন্টস এর বিক্রি মালের কমিশন না দিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছিল। পরে ওদের মধ্য থাকা এক ব্যাক্তি বলেন আমি ডিবির রাজ্জাক এখন নগদ ৫ লাখ টাকা দিলে তোকে ছেড়ে দিব না হলে তোকে ডিবি হেফাজতে নিব। পাশে দাড়িয়ে থাকা মামুন ও সোহেল বলে ওকে উত্তরায় নিয়ে যায় ওকে খেয়ে ফেলবো এবং অশৃল ভাষায় আমাকে ও আমার মা বাবাকে গালাগালী করে।
বিষয়টি দেখে আমার ভাতিজা লাদেন ও আমার ব্যাবসায়ী পাটনার মাসুম এর ডাক চিৎকারে আশেপাশের একাধিক লোক ঘটনা স্থলে আসলে ডিবি পরিচয় দানকারী সহ সবাই সটকে পড়ে ।
বিষয়টি জানার জন্য ডিবি পরিচয় দানকারীর মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন আমার ভুল হয়েছে মিরপুর ১২ নাম্বারে যাওয়া প্রতিবেদক জানতে চাইলে লিখিত কোন অভিযোগ বা টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়ে আপনি অফিসের বাহিরে ডেকে কোন কিছু করতে পারেন কি আপনার বক্তব্য লাগবে তখন তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন, পরবর্তীতে তিনি আর ফোন রিসিভ করেন নি।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে ডিবি পরিচয় কারি উওরার মামুনের বন্ধু সেই সুবাদে ব্যাবসায়ী হান্নান কে মিরপুর ১২নাম্বার ময়লার ডাষ্টবিনের নিকট ডেকে নিয়ে আসে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য। ব্যবসায়ী হান্নান আরো বলেন আমাকে গুমের পরিকল্পনা ছিল কারণ টাকা পেলে আমার অফিসে এসে কথা বলতে পারতো আর ডিবির কাছে কোন লিখিত অভিযোগ ছিলনা।
বর্তমানে আমি খুবই নিরাপত্তা হীনতয় ভুগতেছি সোহেল মামুন ও ডিবির রাজ্জাক আমাকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে চলে গেছে।আমি নিরুপায় হয়ে আমার আত্বিয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করে থানায় একটি অভিযোগ করেছি। সুশীল সমাজ ও ভুক্তভোগীর একান্ত প্রত্যশা নতুন বাংলাদেশে আর যেন গুম চাঁদাবাজি আর কোন অপৃতকর ঘটনা না ঘটে।
সব কিছু যেন আইনের মাধ্যমে হয় ক্ষমতার দোহায় দিয়ে আর যেন কেউ অনৌতিক কোন কাজ করতে না পারে কারণ কেউ আইনের উর্ধে নয়।
(বিস্তারিত ২য় পর্বে,,,,,)