স্টাফ রিপোর্টার: ডিএসসিসি’র ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা একমাস ধরে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঝিগাতলার ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডে মশা নিধন অভিযানে তিনি একথা বলেন।
মেয়র বলেন,আপনারা জানেন যে,এখন এডিস মশার মৌসুম বিশেষ পর্যায়ে। আশ্বিন মাস শুরু হয়ে গেছে, এডিস মশার মৌসুম শেষ পর্যায়ে। তারপরও আমরা এখনো লক্ষ্য করছি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখনো নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। এজন্য আমরা চৌদ্দ নাম্বার ওয়ার্ড এবং ৫৬ নাম্বার ওয়ার্ড,কামরাঙ্গীরচর এবং হাজারীবাগের এই দুটি ওয়ার্ডে গত এক সপ্তাহে আমরা লক্ষ্য করেছি এখানে দশ জনের উর্ধ্বে রোগী সনাক্ত হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আমরা মশা নিধক এর জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছি।
মেয়র আরো বলেন,সপ্তাহের ১০ জনের ঊর্ধ্বে রুগী পাওয়া গেলে আমরা সেই ওয়ার্ডকে লাল চিহ্নিত ঘোষণা করছি।লাল চিহ্নিত ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রচার প্রসারসহ চিরুনি অভিযান,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম করে যাচ্ছি।এর আগে আমরা যে পাঁচটি ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়েছি সে পাঁচটি ওয়ার্ডের ফলাফলে আমরা দেখেছি সেখানে রোগীর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। এখন কামরাঙ্গীরচর এবং হাজারীবাগ এই দুটি ওয়ার্ড আমাদের গত সপ্তাহের পর্যালোচনায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
মেয়র আরো বলেন,এজন্য আমরা সকল এলাকাবাসিকে তাদের তা বাড়ি সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার আহ্বান করেছি এবং আমরা তাদেরকে সাথে নিয়ে একদিন ব্যাপী এই চিরুনি অভিযান চালাচ্ছি।আমরা আশা করি এতে এলাকাবাসি আরো সচেতন হতে হবে এবং অচিরেই এলাকাতে ডেঙ্গু অনেক কমে যাবে।আমরা এডিস মশার প্রজননকে ধ্বংস করছি এবং এবং আমাদের কার্যক্রম বেগবান রেখেছি।এর ফলশ্রুতিতে গত এক মাস ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে ঢাকা এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
মেয়র বলেন,আমরা প্রত্যেকদিন তদারকি করছি সেখানে আমরা লক্ষ্য করেছি যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দৈনন্দিন ৫০,৫১,৫৪ এরকম রোগী সনাক্ত হচ্ছে।সুতরাং আমরা মনে করি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সক্ষম হয়েছি।কোনভাবেই যেন এটা বৃদ্ধি না হতে পারে এজন্যই আমাদের এই ব্যাপক কার্যক্রম।আমরা পুরো মৌসুমই কার্যক্রম চলমান রাখবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,১৪ নাম্বার ওয়ার্ডের কমিশনার ইলিয়াছুর রহমান বাবুলসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।