January 15, 2025, 4:36 am
শিরোনামঃ
তরুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ”- শীর্ষক কর্মশালা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা পশ্চিম গুজরায় লোকনাথ ব্রম্মচারী সেবাশ্রমের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও শ্রীমদ্ভগবদগীতাপাঠ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে লিগ্যাল এইড’র প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানী অনুষ্ঠিত ১০৫ টি ইটভাটায় পরিবেশের সর্বনাশ অবৈধ ৯৯ টি রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশ উদ্ধারে রোহিঙ্গাদের আনন্দ-মিছিলও মিষ্টি বিতরণ ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা খেলেন ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা কোটালীপাড়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছে নবাগত ইউ এন ও সাগুফতা হকের সঙ্গে সাংবাদিকদের মত বিনিময় শীতার্ত জনসাধারনের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ

Reporter Name
  • Update Time : Wednesday, December 4, 2024,
  • 15 Time View

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ;: ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজার রহমান রিপনকে অবৈধভাবে আটকে রেখে শাস্তিমূলক আচরণ করেছে। সাম্প্রতি গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) শহরের হাজীপাড়া এলাকার নিশু ট্রেডার্সের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পুলিশ রিপনকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে ৮ ঘণ্টা থানায় আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করা হয়।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুপুর ১২টা ৩ মিনিটে দুটি মোটরসাইকেলযোগে মাহফুজার রহমান রিপনকে তুলে নেওয়া হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া পুলিশের কর্মকর্তারা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর থানার এ,এস,আই খাদেমুল ইসলাম এবং কনস্টেবল সরব। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর, রিপনের পকেটে থাকা ১৯ হাজার টাকা ও মুঠোফোনটি ছিনতাই করা হয়, এবং তাকে এক ঘরবন্দী করে রাখা হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, পুলিশের পক্ষ থেকে রিপনকে বিস্ফোরক আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় এবং পরে সন্ধ্যা নাগাদ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না, এবং কাউকে আটক করার কোনো ঘটনাও ঘটেনি। তার দাবি, “যদি কেউ আটক করে ছেড়ে দেয়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এদিকে, স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযোগ করছেন, পুলিশ প্রশাসন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পক্ষের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।

সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম রাঞ্জু ফেসবুকে লেখেন, “সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তার রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেও সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করেননি।” অন্যদিকে, নেটিজেনরা এবং বিভিন্ন স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ কখনও অভিযোগের বিষয়বস্তুর প্রতি গুরুত্ব দেয় না, এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা উপেক্ষা করছে। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, পুলিশের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে রাজনৈতিক নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, যদি পুলিশ কোনো অপরাধীকে ধরে রেখে পরে তাকে ছেড়ে দেয়, এবং বিষয়টি অস্বীকার করে, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাধারণ জনগণের মধ্যে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হওয়ায়, একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, যে পুলিশ এখন আর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছে না, বরং রাজনৈতিক পক্ষের প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ISO,NO-QMS/012111/0919