টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া পযন্ত বিএনপি-জামাত কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তাদের রাজপথে প্রতিহত করা হবে বলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
বিশেষ প্রতিনিধি:
বিএনপি’র চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচি ও সরকার পতনের বিভিন্ন কৌশলী আন্দোলনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক মেধাবী ও রাজপথের আলোচিত ১৯৮৯-৯০ সেশনের ছাত্রলীগের নগর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৬শে অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আব্দুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এতে সমন্বয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের উপ অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবার লিখিত বক্তব্যে বলেন,সাগর নদীগিরি ও পীর আউলিয়াদের পুণ্যভূমি চট্টগ্রামের সঙ্গে সমস্ত আবহের রয়েছে বিপ্লবের মন্ত্র ও ইতিহাস।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মাননীয় শেখ হাসিনা (গণতান্ত্রিক) সংগ্রামে জাতির প্রতিটি ক্রান্তিকালের টার্নিং পয়েন্টে বীর চট্টলার ঐতিহাসিক সংগ্রামী ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। ৩য় বারের মতো নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে বলেছিলেন নিজের শহর এবং চট্টগ্রামের দায়িত্ব নিজেই গ্রহণ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজ এর জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত এখন আমাদের চারপাশে মধ্য গঠনের সূর্যের মতো প্রদীপ্ত।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে হেলাল আকবর বাবর আরও বলেন,আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড,আমরা কথায় নয় মানুষের জন্য কাজে বিশ্বাসী। আমরা বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের মতো ষড়যন্ত্রের নীল নকশায় ব্যস্ত নই! দেশকে পাকিস্তান বানানোর পায়তারায় বিশ্বাসী নই! কিংবা আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর রাজনীতিতে মত্ত নই! যার বাস্তবায়ন প্রমান মিলে কিছু পরিসংখ্যানের মাধ্যমেই। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ২০২৪ নির্বাচনকে ঘিরে দেশী-বিদেশী নানামুখী চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত,যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশ এই চক্রান্তের সাথে জড়িত।
এখন আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনেই হবে। এর কোন ব্যর্থই হবে না। চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করলে বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের মতো চট্টগ্রামেও ৮৯-৯০ সেশনের ছাত্র নেতারাও ঘরে বসে থাকবে না। অতীত ছাত্র রাজনীতির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যে কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ৮৯-৯০ সেশনের ছাত্র নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সাবেক ছাত্র নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থেকে সকল চক্রান্ত সড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বান্দরবান থেকে সুন্দরবন ও টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বিএনপির নৈরাজ্য ঠেকাতে আমরা অতীতের রাজপথের অর্জিত আন্দোলনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমস্ত যড়যন্ত্র রুখে দেবো। চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
বর্তমান সরকারের সফলতার দিগদর্শন তুলে ধরে সাবেক এই ছাত্র নেতা আরও বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যানেল নির্মাণ সাফল্যের মুকুটে আরেক পালক। এই ট্যানেল নির্মাণের ফলে চাট্টগ্রামের গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে,চট্টগ্রাম এখন এক সিটির দুই শহর। মহেশখালির মাতারবাড়িতে বিদ্যমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ওই এলাকায় একডি ডিপ-সি পোর্ট। উপরন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেনের হাইওয়ে ৬ লেনের করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ। এর ফলে সমগ্র পূর্ব এশিয়া সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। আর এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ এশিয়ান হাইওয়ের কানেকটিভিটির অংশীদার হবে।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা এম.আর আজিম,মোহাম্মদ সালাউদ্দিন,দেবাশীষ নাথ দেবু,পুলক খাস্তগীর,গাজী মো:জাফর উল্লাহ,রিটু দাশ বাবলু,আবুল মনসুর মাইনউদ্দিন,আশিকুর রহমান মুন্না,জাকির হোসেন কিরণ, প্রনব দাশ,মির্জা আহমেদ,মনোয়ার জাহান মনির, নাজমুল হুদা শিপন,মাহবুব এলাহী,নাসির উদ্দিন মিন্টু, এ.এম কুতুব উদ্দিন সহ চট্টগ্রাম মহানগর ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দরা।