মশিয়ার রহমান,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
উত্তরের জনপদ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।এতে সোনালী ধানে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। এদিকে এই ধান দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এবার ধানের ভালো ফলন হওয়ায় মনের আনন্দে ধান কেটে মাড়াই করছেন তারা।মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা ও জানাযায়,উপজেলার ১১টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার মাঠ জুড়ে পাকা ধানের সোনালি রঙের সমারোহ দেখা গেছে। এছাড়া বাজারে দাম ভালো পাওয়ার আশা কৃষকের।উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।এবারে আমন ধানের মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের আমন ধান চাষে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশেষ করে বীজতলা থেকে ধান রোপণ ও পরিচর্যা সব মিলিয়ে মাঠে মাঠে কৃষকের সোনালী ধান এখন দর্শনীয় হয়ে উঠেছে।এদিকে উপজেলার অনেক মাঠে ধান পাকতে ও পাকা আমন ধান কাটতেও শুরু করেছে কৃষকেরা। তারপরও অধিকাংশ মাঠগুলোতে সোনালী ধানের শীষের সঙ্গে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। মাঠের পর মাঠ সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে।উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল হাজীপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মজিবুর রহমান জানান,‘আমি এ বছর ৪ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি।আমি কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথাসময়ে ভালো পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যেই ধানকাটা শুরু করেছি,ফলনও ভালোই হচ্ছে।উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত গ্রামের কৃষক মো:আলম এ প্রতিবেদককে বলেন,‘এবার ৬ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধানকাটা শুরু করেছি,ফলনও ভালোই হয়েছে। আশাকরি বাজারে দামও ভালো পাবো।’উপজেলার গোলমুন্ডা হাটের ধান ব্যবসায়ী মো.জাকির বলেন,‘গত হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। তবে টুকটাক বেচা-কেনা হয়েছে।আশা করছি দু-চারদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বলেন,‘অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার,পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার উপজেলার কোথাও পোকার আক্রমণ না থাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ বলেন,‘আমন চাষের শুরু থেকেই ভাল মানের বীজ,জমির উর্বরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। ফলনও বাম্পার হচ্ছে। তারপরও যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকে গেছে ওই সব জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে আমরা কৃষককে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছি।