December 8, 2024, 6:27 am
শিরোনামঃ
সাতক্ষীরায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অভিযানে দুই কারারক্ষিক গ্রেপ্তার পুলিশের কাছ থেকে ছিনতাই করা আসামি গ্রেফতার ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতা ওয়াহিদুলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ বোদা উপজেলায় কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূ কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা দুর্গাপুরে প্রকল্পের টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বোদা উপজেলায় চারজন মাদক সেবীকে আটক সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে খেজুরগাছ কাটা আর গাছির অনাগ্রহে কমছে রস কালিগঞ্জে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেলো শতাধিক রোগী ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুলের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ভারত বাংলাদেশি পর্যটকদের মাধ্যমে বিশাল লাভবান হয় : সাখাওয়াত হোসেন

জনগণের সেবা করতে আবারও নৌকার হাল ধরতে চান সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান

Reporter Name
  • Update Time : Monday, September 25, 2023,
  • 99 Time View

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ নিজস্ব প্রতিবেদক:-সংসদ প্রকোশলী শেখ মুজিবুর রহমান নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন এবং সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সাবেক সংসদ সদস্য শেখ প্রকোশলী মুজিবুর রহমান বলেন,বিগত দিনে তিনি নি:স্বার্থভাবে এলাকার উন্নয়ন করেছি আগামীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মন্নোনন পেলে আমার নির্বাচনী এলাকাকে আধুনিক উন্নয়নে রুপকার হিসেবে গড়ে তুলবো। তিনি আরও বলেন,এলাকার সামগ্রী উন্নয়ন হয়েছে। বিগত সংসদ সদস্য থাকাকালিন অবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিগত এমপি থাকাকালিন গ্রামগঞ্জ রাস্তাঘাট পাকাকরন থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ পৌছায় দেওয়া হয়েছে ফলে কর্মসংস্থানে সুযোগ সুষ্ঠি হয়েছিল। আগামীতে জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনীত হলে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন প্রবীন জেলার রাজনীতিবিদ। স¤প্রতি নিজ নির্বাচনী এলাকা তালা-কলারোয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মিসহ সর্ব-সাধরনের সাথে মতবিনিময়সহ গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজ গ্রামে বাড়িতে দৈনিক পত্রদূতের এ প্রতিনিধির সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারের শেখ মুজিবুর রহমান এসব কথা বলেন। সাবেক সংসদ সদস্য প্রবীন রাজনীতিবিদ বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিগত নবম সংসদ নির্বাচন ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করে আমার নির্বাচনী এলাকায় অনেক উন্নয়ন করি। তার পর তালা-কলারোয়ায় তেমন উন্নয়নে ছোয়া পড়েনি। আমি সংসদ সদস্য থাকা কালে তিনি সাতক্ষীরাসহ তার নির্বাচনী এলাকায় বহু উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুল আলোচিত দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্বপ্নের কপোতাক্ষ নদ পুন:খনন,১১৭ কোটি ব্যয়ে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের কাজ। ১৫৩ কোটি ব্যয়ে পাইকগাছা-আশাশুনি রোডনির্মান প্রকল্পের কাজ ছাড়াও প্রায় ১৩৩ কোটি টাকার অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ করেন। এছাড়াও নিজ নির্বাচনী এলাকায় বহু সাইক্লোন সেল্টার,স্কুল কলেজ, মাদরাসা,কার্লভাট,ব্রিজ,পাকা রাস্তা,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বলে জানান। এছাড়াও বিভিন্ন খ্যাতে কোটি কোটি টাকা উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। তিনি তার মায়ের নামে পাটকেলঘাটায় আমিরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলারোয়ায় ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ,পিতা মরহুম শেখ মকছেদ আলীর নামে কল্যান ট্রাস্ট,প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রকোশলী শেখ মুজিবুর রহমান বলেন,আমি প্রথমে জানার চেষ্টা করেছি তালা-কলারোয়ার মানুষের মৌলিক চাহিদা কী। তাদের চাহিদা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়া। দ্বিতীয় চাহিদা হচ্ছে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। আমার সঙ্গে জনগণের সুসম্পর্ক কেন জানেন? আমি মানুষকে কোনো মিথ্যা আশ্বাস দিই না। মিথ্যা কথা বলি না। আামার বড় পুজি হচ্ছে মানুষের বিশ্বাস। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য আমাকে যা করতে হয় তাই করবো ।
জনগণের কাজ করার পাশাপাশি আমি আমার এলাকায় দলকে সুংগঠিত করে রেখেছি। আমরা যে প্রতিনিয়ত জঙ্গিবাদের হুমকি’র মধ্যে থাকি । তা নির্মল করার জন্য দল তথা বাংলার জনগণ কাজ করে যাচ্ছে। যেহেতু বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। সেহেতু তারা যে কোন রকম নাশকতামূলক কাজ পিছপা হবে না। তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার বড়কাশিপুর গ্রামে ১৯৪৩ সালে ৩ ডিসেম্বর এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তৎকালে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শেষ করে। কুমিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ১ম বিভাগ অর্জন করেন। এরপর ১৯৬২ সালে রাজশাহী সরকারী কলেজ হতে আইএসসিতে ২য় বিভাগ অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তৎকালীন পাকিস্থান ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বর্তমান বুয়েট) ঢাকা হতে ১৯৬৮সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) ২য় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বা পাকিস্তান ডেমোক্রেট মুভমেন্ট জোটের ফাতেমা জিন্নাহার সামর্থনে আওয়ামী লীগের আহবানে ইঞ্জিনিয়ার ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ১৯৬৬ হতে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পাকিস্থান ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বর্তমান বুয়েট) শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নির্বাচিত হন এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র রাজনীতিবিদ শেখ মনি,সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাকসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দর সাথে পাকিস্থান বিরোধী আন্দোলনে নিয়োজিত হন। ১৯৬৯সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তির দাবিতে গড়ে তোলা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পূর্ব পাকিস্থানের স্বাধীকার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে সরকারি চাকরি হওয়া সত্তে¡ও তিনি সেখানে যোগদান না করে স্বাধীকার আন্দোলনে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন সাতক্ষীরা মহকুমার (বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা) মুজিব বাহীনীর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্থানী হানাদার বাহীনীর সাথে সস্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধের সময় সহ-যোদ্ধাদের শহীদ হতে দেখেছেন এবং নিজ হাতে শহীদদের দাফন সম্পন্ন করেছেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সাথে দেশ গঠনে আওয়ামী লীগের দলীয়কাজে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত হন। ১৯৮৯- ২০০০ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য হিসাবে দায়িত্বে আছেন। নীতি আদর্শ হিসেবে তিনি একজন সৎ দক্ষ স্বচ্ছ ব্যক্তি হিসেবে সম্পন্ন। তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় পাঁচ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে এলাকায় উন্নয়নে সক্রিয় ভ‚মিকা রেখেছেন।
এসব বিষয়ে মাথায় রেখেই আমি এবং আমার দল কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনে সামনে রেখে আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়নে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন সেগুলো শুধু ঢেলে দিলেই হবে না। প্রয়োজনে পরীক্ষিতভাবে ব্যয় করা । আরেকটা বিষয় হলো আমি মনে করি আমার নির্বাচনী এলাকায় যারা বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করতে পারি তাহলে সব রকম অপরাধ কর্মকান্ড কমে আসবে। তরুণ-যুবকরা আতœ-মর্যাদা নিয়ে বেচে থাকার চেষ্টা করবে। তাই তালা-কলারোয়া বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করাটাই আরেকটি প্রধান কাজ,মাদক একটা বড় সমস্যা এটা যাতে পুরোপুরি বন্ধ করা যায় সে চেষ্টা চালিয়ে যাব। প্রকোশলী শেখ মুজিবুর রহমান বলেন,স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে এই আসন থেকে মনোনয় দিয়ে আবারো তালা-কালারোয়া মানুষের সেবা করার সুযোগ দিবেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার বিশ্বাস।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ISO,NO-QMS/012111/0919