এ এইচ রাজীব:
ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ভবনের আদলে পূজামণ্ডপটির ওপরের অংশটি করা হয়েছে। সেই ভবনের নিচে ভেতরে পূজার জন্য প্রতিমা রাখা হয়েছে। দুই পাশে রাখা হয়েছে দুষ্প্রাপ্য ও ঐতিহাসিক ডাকটিকিটের ছবি। ডাকটিকিটে গ্রামবাংলার চিত্রসহ বাংলাদেশের নানা সাফল্য তুলে আনা হয়েছে। মণ্ডপে ঢুকতেই ডান পাশে বড় করে লাগানো চিঠি পাঠানোর ঠিকানা লেখার স্থান। মণ্ডপের সামনে দাঁড়ালে ডাকঘর আদলে করা ভবনের সামনে দেখা যায়, প্রাঙ্গণজুড়ে রানারের প্রতিকৃতি। মণ্ডপের বাইরের দিকে দুই পাশে পুরোনো দিনের চিঠি একত্র করে বোর্ডে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই রকম বড় বড় দুই বোর্ডে ১২টি করে ২৪টি চিঠি রয়েছে।
স্বাধীনতার পরবর্তী প্রথম ডাক টিকিটি এ যেন হারানো ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।
সেখানে আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ইন্দ্ররা গান্ধি,বঙ্কিমচন্দ্রসহ বিখ্যাত মানুষের লেখা চিঠি।
আয়োজকরা বলছেন,নতুন প্রজন্মকে চিঠি লেখা ও তার গুরুত্ব বোঝাতেই তাদের এই আয়োজন।
এছাড়াও ডাক বিভাগ সম্পর্কে সচতেন করার লক্ষেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।
রাজশাহী নগরীর রানী বাজার মোড়ে টাইগার সংঘ নামে একটি পূজামণ্ডপে এমন আয়োজন করেছে। মণ্ডপটি বাংলাদেশ ডাক ভবনের আদলে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কয়েক বছর ধরে পূজামণ্ডপটি বিভিন্ন ব্যতিক্রম থিমে সেজেছে। কখনো আইয়ুব বাচ্চুর রুপালি গিটারে,বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট,বাহুবলী,রয়েল বেঙ্গল টাইগার,করোনাকালে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের আদলে কিংবা বিশ্বকাপের ট্রফিতে। এবার ডাক বিভাগের চিত্র তুলে ধরা হলো।