শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া :: প্রথম দেখায় সবুজ পাতায় ছেয়ে যাওয়া মাচায় যে কারো চোখ আটকে যায়। এবার করলার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা অনেক খুশি। ইউনাইটেডের ১২-১৩ স্বাদের করলা এখন ডুমুরিয়ার চাষিদের মুখে মিষ্টি হাসি এনে দিয়েছে। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টিইউনিয়ান সহ দক্ষিন অঞ্চলের লীজ ঘেরের এবং সমতল ভূমিতে করলার মাচা। করলা সংগ্রহ করে চাষিরা মাচার পাশে প্রস্তুত করছেন।
কয়েকজন ইউনাইটেড ১২-১৩ছোট করলা বাজারে নেওয়ার জন্য ঝুড়িতে সাজিয়ে নিচ্ছেন। এরকম করলার চাষ করতে দেখা যায় অনেক কৃষককে। এ জেলার উৎপাদিত করলা এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারাহ হওয়ায় লাভের মুখ দেখছে চাষিরা বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই এ উপজেলার চাষিরা করলা সবজি চাষে উৎসাহিত হয়ে করলা চাষ করে স্থানীয় বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করে ভালোই লাভের মুখ দেখছে।
বিভিন্ন এলাকার চাষিরা তাদের উৎপাদিত করলা নিয়ে চলে আসে ডুমুরিয়া কাচা মাল আড়তে ক্রেতারা তাদের থেকে বিভিন্ন দামে করলা ক্রয় করে ট্রাক, মিনি ট্রাক যোগে সকাল থেকে সারা রাত ট্রাকে রওয়ানা হয়ে নিজ গন্তব্যে। বর্তমানে প্রতি মণ করলা হাজার টাকা থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি করছে।ডুমুরিয়া বাজারে এসে ঢাকার কাওরান বাজারের ওবাদল্যাহ নামের এক সবজি ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, ডুমুরিয়ার ইউনাইটেড কোম্পানির ১২-১৩ ছোট জাতের করলার গুণগত মান ভালো ও এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভালো হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার করলা রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারে সরবরাহ করছেন।
চাষী করলা চাষি কায়কোবাদ হোসেন বাসসকে বলেন, গত কয়েক বছর করলা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন। বাজারের ক্রেতা বিক্রেতারা জানান যে, প্রতিদিন নিমসার বাজার হতে প্রায় ১শ’ থেকে ১৫০টন করলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে।
লুৎফর মেম্বার কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৫ বছর ধরে তিনি সবজির চাষ করেন। করলা চাষ করে ভালো লাভ হয়েছে। বাজারে করলা নিয়ে যাবেন-তাই তাড়াহুড়ার মধ্যে জানালেন, ৩৬ শতক জমিতে করলা চাষ করতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ জমি থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করতে পারবেন।
পাইকারি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি করেন। যা খুচরা বাজারে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, ডুমুরিয়া এলাকার হাজার হেক্টর জমিতে করলার চাষ হচ্ছে।
যেখানে পানি জমে না এমন উঁচু-মাঝারি জমির দোঁআশ মাটিতে করলার ভালো চাষ হয়। কৃষি বিভাগ সার ও কীটনাশক প্রয়োগে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে।
শেখ মাহতাব হোসেন। মুরিয়া খুলনা।