মোঃ এনামুল হক স্টাফ রিপোর্টারঃ- গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ওপেন হাউজ ডে ও কমিউনিটি পুলিশং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার বেলা ১১টায় মাওনা থানার উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মাওনা হাইওয়ে থানা চত্তরে অনুষ্ঠান পরিচালিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব সীমা রানী সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হাইওয়ে পুলিশ, গাজীপুর রিজিয়ন, গাজীপুর।
সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাওনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ কংকন কুমার বিশ্বাস। উক্ত আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাহতাব উদ্দিন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীপুর। কমিউনিটি পুলিশ শ্রীপুরের সিরাজুল ইসলাম মাদবর। মোঃ হাবিবুল্লাহ সভাপতি,কমিউনিটি পুলিশ। পৌর আওয়ামিলীগের প্রচার সম্পাদক, জুয়েল মাহমুদ আসিফ। আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ চালক এবং কমিউনিটি পুলিশের সদস্য বৃন্দ। ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মাদবর তার বক্তব্যে বলেন, হাইওয়ে পুলিশ এবং কমিউনিটি পুলিশ একসাথে কাজ করে মাওনা চৌরাস্তার যানযট মুক্ত রাখলে সাধারণ জনতা খুশি হবে। শ্রমিক নেতা যুবায়ের বলেন, দশে মিলে করি কাজ করলে অবশ্যই হাইওয়ে নিরাপদ থাকবে আমার প্রত্যাশা।
কমিউনিটি পুলিশ শ্রীপুরের সভাপতি হাবিবুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, হাইওয়ে নিরাপদ রাখতে অবশ্যই তাকওয়া পরিবহন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং ভাসমান দোকান নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, মাওনা হাইওয়ে নিরাপদ চাই এটা আমদের কাম্য। তাতে যত প্রকার সহযোগিতা লাগে আমি এবং আমরা সর্বদা চেষ্টা ও সহযোগিতা করে যাবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সীমা রানী সরকার বলেন, তাকওয়া পরিবহন এবং ইজিবাইক (অটো) অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এই দুই বাহনকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আমার ধারনা।তিনি আরও বলেন চালকরা অবশ্যই মনে রাখবেন মাদকাসক্ত হয়ে কখনো গাড়ী চালাবেন না। একটা দূর্ঘটনা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্যে মারাত্মক সমস্যার কারন হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমি কোন অবস্থাতেই হাইওয়ে সড়কে
থ্রীহুইলার,ইজিবাইক, নছিমন,করিমন,ভটভটি ইত্যাদি বাহন চলতে দেয়া হবে না এরা চলবে ভিতরের সড়কে। একটা কথা মনে রাখবেন আমরা হাইওয়ে সড়ক নিরাপদ রাখতে সদা সর্বদা প্রস্তুত থাকি। সভাপতি জনাব কংকন কুমার বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন, আমি আমার সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে চেষ্টা করেছি আমার অধিনে হাইওয়ে নিরাপদ রাখার জন্য। ৩ মাসে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছি।তিনি আরও বলেন আমি রাত ১টা নেই ২টা নেই হাইওয়ের কোন সংবাদ পেলেই ছুটে যাই।সেটা সমাধানের চেষ্টা করি।
এ সময় জনপ্রতিনিধি,শিক্ষক,বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক,কমিউনিটি পুলিশিং নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।