মোঃ মেহেদী হাসান সোহাগ বিশেষ প্রতিনিধি:-ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও পৌরসভার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী যুগ্ন আহবায়ক তাজমুন আহমেদ সহ প্রায় দুই হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গফরগাঁও আসনের সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল এর হামলার স্বীকার হয়ে এবং মামলার ভয়ে বাড়ী ছাড়া। গফরগাঁও এর এমপি তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে গুলি করে এবং কুপিয়ে একাধিক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত জখম করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আহত ব্যক্তিগণ জীবন বাঁচতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে গফরগাঁও পৌরসভার আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজমুন আহমেদ। এ বিষয়ে তাজমুন আহমেদ এর সাথে কথা হলে, তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন,আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গফরগাঁও পৌরসভার যুগ্ম আহ্বায়ক। গফরগাঁও এর এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে একাধিক বার হামলা করে এবং গুলি চালিয়ে গুরতর আহত করে। কিন্তু মহান রাব্বুল আলামিন এর ইচ্ছায় প্রতিবার প্রাণে বেঁচে যায়। তাই আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি গফরগাঁও এর এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল সাহেবের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই, মাননীয় এমপি মহোদয়,জন্ম মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা মানুষ নয়, যদি মানুষই হতো তাহলে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ পবিত্র শবে বরাতের রাতে নামাজের কিছুক্ষণ আগে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করালেন আপনি,গুলি করলো আমার শরীরে,,ছোট ভাই বিপুল আর হৃদয়ের শরীরের ভিতরে এখনো গুলি আছে। আমার সারা শরীরে কোপালো গুলি করলো আল্লাহর রহমতে আমার মা বাবা ও সাধারণ মানুষের দোয়ায় এখনো বেঁচে আছি। সেদিন গফরগাঁও পৌরসভার মানুষ আপনার হামলার আতংকে নামাজ পড়তে পারছে কিনা তা গফরগাঁও বাসীই ভাল জানে? আমি যখন জীবন মৃত্যুর মাঝখানে হাসপাতালে ভর্তি তখন আমাকে দিয়ে জোর করে মামলা করালেন আপনি। আমি তাজমুন কিন্তু মামলা করতে রাজী ছিলাম না,আবার সেই আপনিই আমাকে চাপ দিলেন মামলা তুলে নিতে,আমিও আপনার কথায় সবাইকে ক্ষমা করে দিয়ে মামলা তুলে নিলাম । আপনি কর্মীদের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ এমনে ভাবে দেন কোনদিন তা কল্পনা করি নাই। আপনার প্রতি আমার বিশ্বাস টা ছিল অনেক, বিশ্বাসে অন্ধ করে রেখে ছিল আমাদের। আপনি আমাদের সাথে এমন টা না করলেও পারতেন?পরবর্তীতে আপনি সেই তাদেরকে দিয়েই মুসলমান দের সব থেকে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ ঈদের দিন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালালেন৷ ঈদের দিন মানুষের বাড়িঘর ভাংচুর করলেন?,গফরগাঁও পৌরসভার দুইবারের জনপ্রিয় কাউন্সিলর বাবুল ভাই এর বাসার মাঝে হামলা করালেন। এমনকি পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল ভাইয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে ভাংচুর করালেন। যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিলো সেগুলো পর্যন্ত ভাংচুর করালেন। এটা করতে কি একটুও আপনার বিবেকে বাঁধলো না?ছোট ভাই টিপুর বাড়িঘর ভেঙ্গে তছনছ করে দিলেন এবং লুটপাট করালেন। আমার বাড়ি,গোডাউন ঠিকাদারি অনেক মালামাল লুটপাট করালেন,অনেক মানুষ কে কুপিয়ে পঙ্গু বানালেন? আপনার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরকৃত গফরগাঁও পৌরসভার নৌকার দুবারের জনপ্রিয় মেয়র ইকবাল হোসেন সুমন সাহেবকেও লাঞ্ছিত করালেন?পবিত্র ঈদের দিনটা গফরগাঁও বাসীকে মাটি করে দিলেন। পৃথিবীর সব থেকে নিৎকৃষ্ট ও জঘন্য মানুষ ও ঈদের দিন এসব করে না যা আপনি করিয়ে ছিলেন?এর আগে জোর পূর্বক ৬ টা সাদা স্ট্যাম্পে আমাকে দিয়ে লিখে নিলেন।আমার আয়ের উৎস একটি ইট ভাটা সেটাও আপনি জোর করে আপনার নামে লিখে নিলেন। আমার মোবাইল পাসপোর্ট আইকরের ফাইল পর্যন্ত নিয়ে নিলেন। আল্লাহ অবশ্যই আমি তাজমুনের ভাল চায় তা না হলে দুটি পবিত্র দিনে আমার সাথে এমন হতো না। আবার এখন প্রতিনিয়ত আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন,আমাকে আপনি দুনিয়া থেকে সরাইয়া দিবেন, আমি তাজমুন মৃত্যুর ভয় করি না। কারন আমিতো সেই ২০১৯ সালের শবে বরাতের রাতেই মারা গেছি।তবে রাখে আল্লাহ মারে কে আমার উপর যদি আবার ও হামলা করা হয় তাহলে সেই দায়ভার কিন্তু আপনাকেই নিতে হবে,ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল মহোদয়?