রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ফরিদপুরে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেক হস্তান্তর ও দোয়া মাহফিল সালথায় বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত  ফরিদপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা  সুনামগঞ্জের বিন্নাকুলি  লাউড়েগর রাস্তার পাশে সেভ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে   বোদা ইসলামবাক মাদ্রাসায় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত নগরকান্দায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেখতে গেলেন:ইউএনও দবির উদ্দিন ব্যবসায়িককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা বলে অভিযোগ উঠেছে,বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দিতে চক্ষু ক্যাম্প: শতাধিক অসহায় মানুষের বিনামূল্যে চক্ষু সেবা শ্রীপুরে আলোচিত স্বর্ণের দোকান লুটের ঘটনায় দুইজন কারাগারে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে চার প্রার্থীর সমার্থকরা মানববন্ধন করেন

খেজুরগাছ কাটা আর গাছির অনাগ্রহে কমছে রস

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১০৫ Time View

শেখ মাহতাব হোসেন :: শীত মৌসুমে খেজুরের রস সংগ্রহে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি টাঙানোর কাজে ব্যস্ত থাকার কথা গাছিদের। কিন্তু এবার শীত শেষে বসন্ত চলে এলেও ডুমুরিয়ায় দেখা মেলেনি পর্যাপ্ত পরিমাণে খেজুর রস। গাছির অভাব আর গাছ কেটে সাবাড় করায় খেজুর রস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপুল চাহিদা থাকলেও মিলছে না খেজুরের গুড়।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জানা গেছে, এখনো বিভিন্ন এলাকায় অনেক খেজুরগাছ থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলো মরে যাচ্ছে। সঙ্গে গাছির অভাবে রস সংগ্রহ করতে পারেন না গাছের মালিকেরা। এ ছাড়া এখন যেসব গাছ আছে, তাতেও পর্যাপ্ত রস মিলছে না।
ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের সাজিয়াড়া শামছুল‌ উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা মোস্তাক আহমেদ ও ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সরদার আবু সাঈদ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা যহন টগবগে যুবক ছিলাম, তখন শীতের সকাল খেজুরের রস ছাড়া জমত না। সকালবেলার ঠান্ডা, মিষ্টি খেজুরের রস যেন অমৃত। আর এহন সেই গাছ থেকে খেজুর রস নামানো দুষ্কর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলা আশ্বিন মাস থেকে সাধারণত রস সংগ্রহ শুরু হয়। তবে পৌষ ও মাঘ মাসে সবচেয়ে বেশি রস পাওয়া যায়। কিন্তু এবার তীব্র শীতের সময়েও আগের মতো দেখা মেলেনি রসের।
সাজিয়াড়া শামছুল‌ উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল গাফফার বলেন, ‘শীতের সকালে গাছিদের কাঁধে করে হাঁড়ি ভরা রস নিয়ে যাওয়ার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য গ্রামীণ বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও দেখা যায় না। কিন্তু মানুষের সৃষ্ট কারণেই এখন আর আগের সেই ঐতিহ্য নেই।’ এ জন্য তিনি যত্রতত্র ইটভাটাকে দায়ী করেন।

এদিকে উপজেলার ডুমুরিয়া উপজেলার‌ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা মেলে কয়েকটি খেজুরগাছের। কয়েকজন মালিক বলেন, খেজুর রস পাওয়ার পরিমাণ গাছ ছিলার কৌশল ও যত্নের ওপর নির্ভর করে। এখন গাছিরা খেজুর রস ও গুড় বিক্রি করে সংসার চালাতে পারছেন না। তাই এতে তাঁদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই।

উপজেলার গুড় ব্যবসায়ী বিশ্ব বলেন, খেজুর রসের গুড় আগের মতো পাওয়া যায় না। এখন পাটালি গুড় বেশি বিক্রি হয়। ক্রেতারা পাটালি গুড় দিয়েই শীতকালীন নানান পিঠা খেতে পছন্দ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category