শেখ মাহতাব হোসেন :: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা- ৫ -(ডুমুরিয়া ফুলতলা) আসনে আ.লীগের যে কয়েকজন দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন তাদের মধ্যে তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক অজয় সরকার।
তিনি এ আসনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় গত এক যুগেরও বেশী সময় করে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি সাধ্যমত জনকল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নিয়মিতভাবে আ.লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষকলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ডুমুরিয়া -ফুলতলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাড়া মহল্লা, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনসম্মুখে গণসংযোগ করে চলেছেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারের পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রান্ডিং করে সময় উপযোগী কৌশলে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য জনসাধারনকে উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন।
লক্ষ্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তৃণমুল পর্যায় থেকে ওঠে আসা অজয় সরকার এ অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি। বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়ার মধ্য দিয়ে তার এই নির্বাচনী যাত্রা শুরু। এই সুদীর্ঘ সময়ে তিনি দলীয় প্রতিপক্ষদের দারা নানান ভাবে বাধাগ্রস্ত হলেও কখনও থেমে থাকেননি।
দলীয় নেতারর্মীদের প্রতিটি বিপদ আপদে তিনে সর্বদা পাশে থেকেছেন। বিগত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রভাবশালীদের বিরোধপূর্ন আচরনে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করে যখন হামলা মামলার স্বীকার হয়ে ঘরমুখি হয়েছিলেন, এই অজয় সরকারই তখন ক্ষতিগ্রস্ত নৌকা কর্মীদের পাশে দায়িছ্ন ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে আওয়ামী লীগেকে পুরনায় ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করেছেন। দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরেই গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এলাকাজুড়ে তিনি বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।
ডুমুরিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বলেন অজয় সরকার একজন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের জয়লাভ অনেকটাই সহজ হবে।
খর্নিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নারায়ন মল্লিক বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য কোনো নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলেন না। যিনি আমাদের সঙ্গে চলবেন আমরা তাকে চাই। ডুমুরিয়া ফুতলা থেকে দলীয় মনোনয়নে আমরা এমন নেতাকেই আশা করছি। অজয় সরকার দলের উদীয়মান নেতা। তিনি সজ্জন ব্যক্তি। তার কোনো দুর্নাম নেই।
তিনি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি -ডুমুরিয়া- ফুলতলা মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।অজয় সরকার বলেন, আমি এই মাটির সন্তান, কারও কাছে শাসক বা নেতা নই, সেবক হিসেবেই সর্বদা জনগণের সাথে মিলমিশে থাকতে চাই থাকতে চাই।
আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই দেশ ও দশের কল্যানে। বর্তমান সরকারের অভাবনীয় সাফল্য ও উন্নয়নের চিত্র সম্পর্কিক প্রচার প্রচাররনা প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের দোরগড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি আমি গণসংযোগ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছি। আমি মনে করি এদেশকে সামনের দিতে এগিয়ে নিয়ে সত্যিকার অর্থে উন্নত,সমৃদ্ধশালী, আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে পরিনত করতে গেলে আমার এমপি হওয়ার থেকেও বেশী জরুরী শেখ হাসিনাকে এদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে পূনঃনির্বাচিক করা। তাই স্থানীয় সকল বিভেদকে ভূলে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আওয়ামী লীগ পুনঃগঠনের পাশাপাশি আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করছি।আশাকরি দল আমার এই কাজের ও পরিশ্রমের নিশ্চই মুল্যায়ন করবে।