February 14, 2025, 8:22 pm
শিরোনামঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১১ জন গ্রেফতার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক ২ বাংলাদেশিকে ফেরত আনল বিজিবি ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক ২ বাংলাদেশিকে ফেরত আনল বিজিবি ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে ছাত্রলীগ নেতাকে দেখতে গিয়ে যুবলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের নেতা আটক নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা প্রাচীনতম আইন কলেজটির ভঙ্গুর পরিদর্শন এসে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি আশ্বাস দিলেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১২ জন গ্রেফতার পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিয়ার উদ্ধার দুর্গাপুরে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প উদ্বোধন করেন:ব্যারিস্টার কায়সার কামাল কোটালীপাড়ায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতর ইয়াবাসহ টেকনাফের আবছার আটক

কলারোয়ায় সালাম না দেওয়ায় অফিস থেকে বাহির করে দিলেন খতিবকে নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস

Reporter Name
  • Update Time : Friday, October 21, 2022,
  • 76 Time View

শেখ জাকির হোসেন কলারোয়া প্রতিনিধি:
সালাম না দেয়ায় উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিবকে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই খতিব।

কলারোয়া উপজেলা মসজিদের খতিব মো. মতিউর রহমান বলেন, আমি তিন বছর ধরে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছি। গত ১২ রবিউল আওয়াল মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা) জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কীভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যায় সেটি জানার জন্য গত ৮ অক্টোবর ইউএনও স্যারকে ফোন দেই।

কিন্তু বেখেয়ালে সালাম দিতে ভুলে যাই। কিছুক্ষণ পর তিনি আমাকে আবার ফোন ব্যাক করে বলেন, আমাকে সালাম করলেন না কেন? আমার স্বাক্ষরে আপনার বেতন হয়। তখন আমি বলেছি, সামনে খেয়াল রাখবো। তখন তিনি বলেন, আপনি তো বেয়াদব মানুষের মতো আচরণ করছেন। আপনি নিজে বেয়াদব মানুষকে কী শেখাবেন, বলে বকাবকি করেন। তখন আমি আবারও বলি, স্যার সামনে থেকে খেয়াল রাখবো। আমি একটু বেখেয়াল হয়ে গিয়েছিলাম।

খতিব আরও বলেন, বুধবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন চিঠি দিয়ে আমাকে মিটিংয়ে আমন্ত্রণ জানালে আমি সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে ইউএনও স্যার আমাকে পূর্বের দিনের সালাম না দেয়ার কথা তোলেন। তখন আমি বলি, স্যার আমি একটু বেখেয়াল হয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া আমি সবসময় সালাম দেই। তখন তিনি বলেন, আমার চেহারা কি এতো ভালো যে আমার চেহারা দেখলে আপনি বেখেয়াল হয়ে যান? অন্যরা তো কেউ বেখেয়াল হয় না। আপনি বেখেয়াল হয়ে যান।

বেয়াদব কোথাকার। বের হন, বের হয়ে যান এখান থেকে। যান, বের হয়ে যান। এর আগে বলেন, ছাগলটা এখনও বের হয়নি! এই বলে সেখান থেকে আমাকে বের করে দেন। এ ঘটনায় আমি জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযোগ রয়েছে, এর আগে মাস খানেক আগে মসজিদের মোয়াজ্জেম হাফেজ মাসুদুর রহমানকে তিনি বলেছেন, আপনি কি গাঁজা খান?

তিনি বলেন, সুনামের সঙ্গে আমরা দায়িত্বপালন করছি কিন্তু এর আগে কখনও কোনো ইউএনও স্যার এভাবে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি।

মিটিংয়ে উপস্থিত থাকা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিন্ড সুপার ভাইজার শাহজাহান কবির বলেন, স্যার না বলায় সম্ভবত ইউএনও স্যার একটু মাইন্ড করেছেন। মূলত সেকারণে আমাদের মিটিংয়ে একটু ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন স্যার। বলছিলেন, আমাকে দেখেই আপনি বেখায়াল হয়ে যান। অন্য কেউ তো হয় না। এরপর তাকে মিটিং থেকে বের করে দেন।

অভিযোগের বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, আমি উপজেলা মসজিদ কমিটির সভাপতি। বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে আমার মিটিং হয়। কোনো খারাপ ব্যবহারের ঘটনা ঘটেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান,নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস প্রথম থেকে বিভিন্ন ধরণের মানুষের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করেন। সাধারণ জনগণ বলেন এর আগে কলারোয়া উপজেলায় এমন কখন হয়নি বিশেষ করে বেনজির ইউএনও এর চেয়ে বেশি পাওয়ার দেখায় আর তাঁর মধ্যে দুর্নীতিও বেশি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ISO,NO-QMS/012111/0919