মোঃ জিয়াউর জিয়া,কলারোয়া প্রতিনিধি ::
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ২নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান ও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনীর প্রধান জালালাবাদ গ্রামের নূর উদ্দীন সানার ছেলে শফিকুল ইসলাম শফির বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামকে মারপিটের ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই পরিষদের বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য বৈদ্যপুর গ্রামের মনিরুদ্দীন কাগুজীর ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, জালালাবাদ ইউনিয়নে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বরাদ্দ বা কাজ আসলে ইউপি চেয়ারম্যান নিশান অভিযোগকারী ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামসহ অধিকাংশ ইউপি সদস্যদের সাথে সমন্বয় না করে সম্পূর্ন হঠকারিতা ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে ওইসব বরাদ্দের কাজ করে। ধার ধারে না কোন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার। তবে ওই শফিকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য না হলেও তারই সহায়তায় বিভিন্ন অবৈধ প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ন করে থাকেন ইউপি চেয়ারম্যান। এতে প্রায় সময় প্রতিবাদ করেন সাইফুলসহ অধিকাংশ ইউপি সদস্যরা। এতে চেয়ারম্যান সাইফুলসহ কয়েকজন ইউপি সদস্যর উপর ক্ষিপ্ত থাকেন।
এরই জের ধরে গত ২১ আগষ্ট দুপুরে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের ওয়ার্ডের একটি রাস্তা আইডিতে অর্ন্তভূক্ত না হওয়ার ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের স্টাফদের উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যানে সাথে তার কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার উদ্দেশ্যে ইউপি সদস্যে সাইফুলের মাথা বরাবর পেয়ার ওয়েট ছুড়ে মারে। এ সময় পেয়ার ওয়েটটি তার কপালে লাগলে রক্তাক্ত জখম ও মারাত্মক আহত হয়। এরপর ভাড়াটিয়া গুন্ডা শফিকুল চেয়ারম্যানের হুকুম পেয়ে তাকে পরিষদ থেকে জোরপূর্বক বের করে নিয়ে এসে অপরিচিত অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় এলাপাতাড়ী মারপিট করে আরো গুরুতর আহত করে। পরে ইউপি সদস্য সাইফুলের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ভাড়াটিয়া গুন্ডা শফিকুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করে জেলা প্রশাসক,উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবর পৃথকভাবে রিখিত অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও চেয়ারম্যান নিশান বিরুদ্ধে এক নারী স্বাস্থ্য লাঞ্ছিত, ছাত্রলীগ নেতা জনিকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকিয়ে মারপিট,স্কুলের কমিটিকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষককে মারপিটসহ একাধিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে জানা যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান জানান, মারপিটের বিষয়টি ভিত্তিহীন। তবে ইঞ্জিনিয়ার ও এক মহিলা মেম্বরের সাথে ইউপি সদস্য সাইফুলের কাথাকাটাকাটি হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।