ঝিকরগাছা প্রতিনিধি: সরকারি নীতিমালায় ‘সরকারি হাসপাতাল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বেসরকারি ক্লিনিক অবস্থিত হবে’ এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ও প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এসএস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড প্রশাসন দেখছে শুনছে কিন্তু কিছুই বলছে না বরং নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। তাহলে কোন খুটির জোর দেখিয়ে ক্লিনিক মালিক এমন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।
এই বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা তথ্য অনুসন্ধান করতে থাকলে ক্লিনিক মালিক বিষয়টি বুঝতে পেরে সংবাদকর্মীদের থামাতে ও নিজের কর্মকান্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার যশোর জেলা প্রতিনিধি মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজ এবং স্থানীয় দৈনিক সত্যপাঠ পত্রিকার প্রতিনিধি আফজাল হোসেন চাঁদ এর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন থানা সূত্রে জানা গেছে। তবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য অভিযোগের সাথে কোন প্রকার এভিডেন্স উপস্থিত করেননি। এছাড়াও এসএস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনিয়ম, দুর্নীতি বা অপচিকিৎসা নিয়ে কেউ কথা বললেই তাকে খেতে হয় মামলা আর সইতে হয় ক্লিনিকের পোষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী কতৃক হয়রানি শিকার। আর একাজে অত্যান্ত দক্ষ ডিএইচএমএইচ ডিগ্রীধারি স্বঘোষিত কথিত ডাক্তার বা এসএস ক্লিনিকের পরিচালক সোনিয়া আক্তার।
তিনি তার অদৃশ্য খুটির জোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের মুখেই পরিচালিত হচ্ছে এসএস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠানটি। এ যেন প্রদীপের নীচেই অন্ধকার। এই ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক এমবিবিএস ডাক্তার,প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স বা ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায় প্রতিনিয়ত মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে। আর এই বিষয় নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করতে থানাতে জান তিনি। কিছুদিন পূর্বে ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক,জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজ এবং স্থানীয় দৈনিক সত্যপাঠ পত্রিকার ঝিকরগাছা প্রতিনিধি আফজাল হোসেন চাঁদ এরকম একটা রিপোর্ট করলে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে থানার সাবেক ওসির নিকট মৌখিক অভিযোগ দেন এই কথিত ডাক্তার সোনিয়া আক্তার।
পৌর সদরের ৫নং ওয়ার্ডের কীর্তিপুর গ্রামের শফি বিশ্বাসের পুত্র যুবলীগ নেতা আরিফুজ্জামান সন্টু বলেন, কিছুদিন পূর্বে উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের এক রুগীকে সোনিয়া আক্তার নিজে সিজারিয়ান করতে গেলে সেই রুগী মারা যান। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির মামলা দেন সোনিয়া আক্তার। স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে সে যাত্রা বেচে যান ঐ যুবলীগ নেতা।
ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু বলেন,মিথ্যা আর বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে, ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের কলমকে থামানো যাবেনা। সকল বাধা উপেক্ষা করে পাঠকের সামনে সত্যকে তুলে ধরতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের বিরুদ্ধে কথিত ডাক্তার সোনিয়ার করা অভিযোগটি বর্তমানে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অফিসারের নিকট আছে। তিনি নিশ্চয়ই সঠিক তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করবেন এবং এটা যে মিথ্যা অভিযোগ সেটা তখনই প্রমাণ হয়ে যাবে।
থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন,একটা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের উপর তদন্ত কার্যক্রম চলমান। অভিযোগের সত্যতা বা মিথ্যা যেটাই প্রমাণিত হবে আমরা সেটার উপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।