রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ফরিদপুরে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেক হস্তান্তর ও দোয়া মাহফিল সালথায় বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত  ফরিদপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা  সুনামগঞ্জের বিন্নাকুলি  লাউড়েগর রাস্তার পাশে সেভ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে   বোদা ইসলামবাক মাদ্রাসায় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত নগরকান্দায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেখতে গেলেন:ইউএনও দবির উদ্দিন ব্যবসায়িককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা বলে অভিযোগ উঠেছে,বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দিতে চক্ষু ক্যাম্প: শতাধিক অসহায় মানুষের বিনামূল্যে চক্ষু সেবা শ্রীপুরে আলোচিত স্বর্ণের দোকান লুটের ঘটনায় দুইজন কারাগারে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে চার প্রার্থীর সমার্থকরা মানববন্ধন করেন

উপদেষ্টার ছেলের বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রীর মামলা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮৭ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি :: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মুয়াজের সাবেক স্ত্রী নীলা ইসরাফিল বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন। মামলায় নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন সাবেক স্ত্রী নীলা।

গতকাল ২ ডিসেম্বর দুপুরে মামলাটি রমনা থানায় নথিভুক্ত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক। মামলা নম্বর ২।তিনি বলেন, নির্যাতনের অভিযোগে রমনা থানায় একজন ভুক্তভোগী নারী মামলার আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নারী নির্যাতন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় মুয়াজ আরিফ একমাত্র আসামি। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মামলায় অভিযুক্ত আসামি মুয়াজ আরিফ অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের ছেলে।

মামলা গ্রহণের আগে রমনা থানার সামনে নীলা সাংবাদিকদের বলেন, মুয়াজ আরিফের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছয় বছরের। আমি গত (রোববার) রাত থেকে এই থানায় অবস্থান করছি৷ পুলিশ মামলা নিচ্ছে না।
অভিযোগকারী নীলা বলেন, গত ২৯ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে নিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছে মুয়াজ। সাবেক স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আমাকে সেক্সুয়ালি হ্যারাসমেন্ট, ব্যাড টাচ করেছে। পেটে চাকু মেরেছে। মাথায় আঘাত করেছে।

নীলা আরও বলেন, ২০২১ সালে ২৯ এপ্রিল আমাদের ডিভোর্স হয়েছে। কিন্তু মুয়াজ সেই ডিভোর্স মানতে চায়নি। সে আমার ওপর সমসময় অনধিকার চর্চার চেষ্টা করেছে।

ডিভোর্সের পর আমাকে কারাগারে যেতে হয়। কারাগার থেকে বের হয়ে আমি ২০২১ সালে বড় মেয়েকে আটকে রাখার অভিযোগে রিট করছিলাম। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশ ছিল বাচ্চা ছেলেটা আমার কাছে থাকবে। মাসিক ১ লাখ টাকা খরচা দেবে। কিন্তু বাচ্চাও পাইনি, খরচও পাইনি। বড় মেয়েটা আমার কাছে থাকে।’

ঢাকা ক্লাবে কেন দেখা করতে গেলেন? জানতে চাইলে নীলা বলেন, আমি মুসলিম আইন অনুযায়ী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাইনি। মাঝেমধ্যে দেখা করার অধিকার আমার আছে। আমার বড় বাচ্চা মানসিকভাবে অসুস্থ। সাইকিয়াট্রিস্ট চিকিৎসক বলেছেন তার সুস্থতার জন্য পারিবারিক আবহ দরকার। সেজন্য সুইমিং করাতে ঢাকা ক্লাবে যাই।

সেখানে আমার সাবেক স্বামী মুয়াজ তার এক বন্ধুর টোকেনে মেয়েকে সুইমিংয়ের ব্যবস্থা করে দেয়। আর হোটেলে রুম বুকিং করে। আমাকে সেই রুমে নিতে প্ররোচিত করে। আমি যেতে আগ্রহী ছিলাম না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শনিবার থেকে আমি থানায়। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ যখন দেখে অভিযুক্ত ব্যক্তি মুয়াজ আরিফ উপদেষ্টা হাসান আরিফের ছেলে, তখন সবাই উঠে চলে যায়। মামলা নেয়নি। সকালেও নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও সোমবার দুপুরে মামলা নেওয়ার কথা জানিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।

নীলা আরও বলেন, আমাকে অফার করা হয়েছে মীমাংসার জন্য। মুয়াজের সঙ্গে আমার বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। ডিভোর্স হয় ২০২১ সালে। আমি ন্যায়বিচার চাই। হাসান আরিফের সঙ্গে মীমাংসা বৈঠকেও বসতে রাজি। কিন্তু প্রতিটি অন্যায়, অবিচার ও নির্যাতনের বিচার হতে হবে। ২০১৮ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত যে সময় গেছে সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে।

এদিকে রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক কে মামলা নেওয়ার বিলম্বের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, বিলম্ব হয়নি হয়তো একটু দেরি হয়েছে। মামলা না না নেওয়ার বিষয় নিয়ে কোন উপরের চাপ ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।মামলার আসামি মুয়াজ আরিফ কে এখনো আটক করা হয়নি। এ নিয়ে রহস্য ও ন্যায় বিচার প্রাপ্তির আশংকা করেন বাদী নীলা।

নীলা গণমাধ্যমকে জানান, আমি দ্রুত আসামি আটক পূর্বক ন্যায় বিচার চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category